আমার ভোট কে দিল? আমি তো ঢাকায়! শিবগঞ্জে মোকামতলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভোটারের চেয়ে ভোট বেশি সম্মেলন স্থগিত

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আওয়ামীলীগের
ইউনিয়ন পর্যায় একটি ইউনিয়নের ভোটারের চেয়ে ভোট বেশি।
আমার ভোট কে দিল? নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের
সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর অভিযোগ ইউনিয়ন সম্মেলন গুলো
স্থগিত।
জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলা মোকামতলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের
সভাপতি প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক মন্ডল বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের
সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবরে গত বুধবার রাতে লিখিত ভাবে
অভিযোগ করে বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ফজলার রহমান দুলা অত্র
ইউনিয়নের সভাপতি থাকালীন কাউন্সিলরের তালিকায় বিভিন্ন অনিয়ম
করে এবং যোগ সাজসে ইউনিয়নের কো-অফ ১৫ জন কাউন্সিলরদের মধ্যে
আমার সমর্থকদের একজনের নাম রাখা হয়নি। এত অনিয়ম সত্বেও দলের
বৃহত্তম স্বার্থে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করি। নির্বাচনে ১৮৩ জন
কাউন্সিলর তাদের মূল্যবান ভোট প্রদান করেন। কিন্তু কাউন্সিলরদের মধ্যে বীর
মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম ফকির অনুপস্থিত ছিলেন। সিদ্দিক মন্ডল তার
অভিযোগে আরো বলেন, মোকামতলা ইউনিয়নে ৯টি ওয়ার্ডের মোট
ভোটার সংখ্যা ১৭১ জন এবং কো-অফ ভোটার সংখ্যা ১৫ জন সহ
সর্বমোট ভোটার ১৮৬ জন। উপস্থিত ভোটার সংখ্যা ১৮৫ জন। সেখানে

ভোট ব্যালট পাওয়া যায় ১৮৭জন। দুটি ভূয়া ভোট এলো কোথায় থেকে।
আমি ভোট পেয়েছি ৯৩টি এবং আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভোট
পেয়েছে ৯২টি। অথচ আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভোট দেখানো
হয়েছে ৯৪ টি। প্রকৃত পক্ষে উভয়ের ভোট গণনায় দেখা যায় আমি
১টি ভোটে এগিয়ে থেকে আমি সভাপতি নির্বাচিত। বিষয়টি
নিয়ে মোকামতলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মানিত সভাপতি
প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,
৯টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কো-অফ ভোটার সহ সর্বমোট ভোটার ১৮৬
জন। কিন্তু প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১৮৭ জন। আমি সভাপতি পদে ভোট
পেলাম ৯৩টি। আর আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দুলা সরদার ভোট পেলেন
৯২টি। অথচ ভোট গণনার পর আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভোট
দেখানো হলো ৯৪টি। তবে ভোটের দু:খজনক ঘটনা হলো আবুল কাশেম
ফকির নামে ১জন কো-অফ সদস্য ভোট দিতে আসেন নি। আমি এই
অনিয়মের অভিযোগ এনে বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি/সাধারণ
সম্পাদক বরাবর অভিযোগ করেছি। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি
ন্যায় বিচার পাব বলে আশা করছি। যাহা মোকামতলা ইউনিয়ন
আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা প্রত্যাশা করে। এ দিকে ঘটনায় ফজলার
রহমান দুলার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে যোগাযোগ করা
সম্ভব হয়নি। অপর দিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৩.৩০ মিনিটে
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কো-অফ সদস্য আবুল কাশেম মোবাইল ফোনে
কথা বললে তিনি বলেন, আমি আমার অসুস্থ্য স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায়
এসেছি। ভোটের তো কিছুই জানিনা। আমার ভোট কে দিল আমি
তো ঢাকায়। এদিকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন গুলো স্থগিত করা
হয়েছে। এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আজিজুল
হক বলেন, বগুড়া জেলা নেতৃবৃন্দের নির্দেশক্রমে ৭টি ইউনিয়ন ও একটি
পৌরসভা কাউন্সিল স্থগিত ঘোষনা করা হয়েছে। পরবর্তীতে নির্দেশনা
না পাওয়া পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন স্থগিত।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ