পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় শিশু হত্যা

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ ছিনতাইয়ের ঘটনায় কলেজপড়ুয়া বড়ভাই সাক্ষী দিয়েছিল এবং প্রতিবেশী প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় বাধা দিয়েছিলেন বাবা। এর জের ধরে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয় বন্দরের মদনপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র শিশু আরাফাতকে (১১)।

বড়ভাই ও বাবার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুলছাত্র শিশু আরাফাতকে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করে লাশ মসজিদের পুকুরে ফেলে দেয় রিপন। আদালতে এমনই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সে।

মামলার প্রধান আসামি রিপন ডিবি পুলিশের চার দিনের রিমান্ড শেষে রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহামুদুল মহসিনের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ইন্সপেক্টর শ্রী আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের সময় রিপন জানায়- সে একাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।  আরাফাতের বড়ভাই ছিনতাইয়ের সাক্ষী দেয়ায় এবং তার বাবার সঙ্গে বিরোধের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে সে আরাফাতকে খুন করেছে বলে জানায়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সকালে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি ইট পুকুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউপির সাবেক সদস্য লাউসার গ্রামের রফিকুল ইসলাম মনার ছেলে স্কুলছাত্র আরাফাতকে (১১) গত ১৫ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে বিজয় দিবসের একটি কনসার্টে নিয়ে যায় একই গ্রামের  ইসলাম মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া। ওই রাতেই বাড়ির পাশে পুরাতন স্কুল ভবনে নিয়ে আরাফাতকে প্রথমে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয়। পরে গলাটিপে হত্যা করে মসজিদের পুকুরে লাশ ফেলে দিয়ে রিপন নিজেই পরিবারের সঙ্গে আরাফাতকে খোঁজাখুঁজি করে। তিন দিন পর ১৮ ডিসেম্বর আরাফাতের লাশ ভেসে ওঠে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ