বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার দুটি স্কুল থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম বাদ দেয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। স্কুল দুটিতে জিয়াউর রহমানের নাম পুনঃস্থাপনে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। স্কুল দুটির একটি হলো শহীদ জিয়াউর রহমান গালর্স হাইস্কুল, যা পরিবর্তন করে করা হয়েছে সুখানপুকুর বন্দর গালর্স হাইস্কুল। আরেকটি গাবতলী শহীদ জিয়া হাই স্কুল, যা পরে হয় গাবতলী পূর্বপাড়া হাইস্কুল।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল। সঙ্গে ছিলেন আকতার রসুল মুরাদ, নুসরাত ইয়াসমিন, আব্দুল্লাহিল মারুফ ফাহিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
গত ১৯ এপ্রিল শিক্ষামন্ত্রণালয়ের উপসচিব কামরুল হাসান স্কুল দুটির নাম পরিবর্তন করতে আদেশ দেন। পরে এ আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ এ আদেশ দেয়।
আদেশের পরে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘২০০০ সালে প্রথম স্কুলটি শহীদ জিয়া হাইস্কুল নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল এই নামটি পরিবর্তন করা হয় কোনো কারণ উল্লেখ ছাড়াই। ১৯৯৬ সালে গাবতলী শহীদ জিয়া হাই স্কুল নামে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয় কিন্তু সেটিও চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল পরিবর্তন করা হয়।
‘এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করেই রিট করেছিলাম। আজ শুনানি শেষে আদালত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে।