শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বুধবার দূপূরে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা
আওয়ামীলীগের সভাপতি আজিজুল হক উপজেলা দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ
সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তেব্য বলেন গত ২৭
ডিসেম্বর দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় ‘আজিজুলে কাঁপে বগুড়ার শিবগঞ্জ’
শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে।
উক্ত সংবাদের মাধ্যমে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি কু-চক্রী মহল
সংবাদ পত্রের মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আসছে। প্রকাশিত সংবাদে যতগুলি
অভিযোগ করা হয়েছে তা দীর্ঘদিনের ষড়যন্ত্রের ফসল। কারণ অনেক অপ্রাসঙ্গিক
বিষয়গুলিও সংবাদে এনে সংবাদের যথার্থতা প্রমাণের চেষ্টা করে আসছে, যা
হাস্যকর বিষয়। আমি আদৌ কোন গুন্ডা বাহিনী বা সন্ত্রাসী অথবা লাঠিয়াল
বাহিনী নিয়ে উপজেলায় চলাফেরা করি না। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন
সৈনিক। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে এই উপজেলায় দীর্ঘ ২৮ বছর যাবৎ
আওয়ামীলীগের কার্যক্রম সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করে আসছি। দলীয় নেতাকর্মীরা
আমাকে বার বার নেতৃত্ব দান করার জন্য সুযোগ দিয়েছে। অথচ সংবাদপত্রে আমার
রাজনীতি মাত্র ১৫ বছর উল্লেখ করা হয়েছে এটা পত্রিকার খোরাক বটে। কেননা
আমি ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত এক টানা ৩ বার সাধারণ সম্পাদক
হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি এবং ২০১৩ সাল সভাপতি হিসাব নির্বাচিত হই।
অদ্যাবধি শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে
আসছি। অথচ সাংবাদিক হাইব্রীড নেতাদের কথায় সত্য ঘটনাকে আড়াল করার
জন্য এ বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করেছেন। সংবাদে পত্রে বিআরডিবি জমি দখল
নিয়ে লেখা হয়েছে সাংবাদিক জানেন না যে বিআরডিবির কোন জমি নেই
এটা প্রমাণ করে যে, আসলেই তিনি হলুদ সাংবাদিক। আমার বিষয়ে দুদকের
কাছে ভূয়া তথ্য দিয়ে নালিশ করা হয়েছিল। যা আমি দুদকের সংশ্লিষ্টদের কাছে
সঠিক তথ্য দিয়ে বিষয়টি খন্ডন করেছি। অথচ সাংবাদিক তার লোককে খুশী করার
জন্য এ সব কিছু ভুয়া তথ্য দিয়ে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছে মাত্র।
আমি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হলেও আমার জামানত
বাজেয়াপ্ত হয়নি কিন্তু এমএম ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকার ও সাংবাদিক
জামানতের বিষয়টি জানেন না অথচ পত্রিকায় মিথ্যা অপ-প্রচার চালিয়েছেন।
স্কুলের জায়গার উপর দোকান নির্মাণ ও ভাড়া বিষয়টি সংবাদে প্রকাশ করা হয়েছে
জমিটি আমি সরকার থেকে লীজ গ্রহণ করেছি এবং নিয়মিত ভাবে
নিমানুসারে ভাড়া প্রদান করে আসছি । ময়দানহাট্টা ইউনিয়ন যুবলীগের
সভাপতি কে নিয়ে যে কথাটি লেখা হয়েছে তার সঙ্গে কখনো আমার পত্রিকার
উল্লেখিত বিষয়ে কোন কথপকথন হয়নি। তার বাবা আমার দলের প্রবীন নেতা হওয়ায়
ওই পরিবারের সাথে আমার দলীয় সম্পর্ক রয়েছে। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা কে
নিয়ে যে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে তা মূলত মিথ্যা হওয়ায় জিডিতে
ফাইনাল রিপোর্ট হয়েছে। সেটি সম্পন্ন মিথ্যা। সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যম ফেসবুক আজিজ শিবগঞ্জ আওয়ামীলীগ নামে ফেসবুক আইডি খুলে
আমার নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন অপ-প্রচার চালানো হচ্ছে তা আমার জানা নেই।
তবে কে বা কাহারা এই আইডি পরিচালনা করছে। সেটি সাংবাদিক মহোদয় ভাল
জানেন। যাদের কথায় প্রভাবিত হয়ে আপনি আমার নামে এই সব মিথ্যাচার
সংবাদ পরিবেশন করেছেন তারা কি প্রকৃত আওয়ামীলীগ? এছাড়াও পত্রিকায়
আমার সহধর্মীনীকে জড়িয়ে সংবাদে যে কথাটি তুলে ধরা হয়েছে তা আদৌ
সত্য নয়। বিদ্যুৎ বিল ব্যাপারে যে তথ্য আনা হয়েছে, আমার একাধিক ভাড়াটে
হওয়ায় বিদ্যুৎ বিল সময় মত পরিশোধ না করায় এ সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি জানার
পর বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে। দলে কিছু অনুপ্রবেশকারী শিবগঞ্জ
উপজেলা আওয়ামী লীগ কে নিশ্চিহ্ন করে জাতীয় পার্টিতে পরিণত করার লক্ষ্যে আমার
নামে এই মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য প্রদান করে সংবাদপত্রে প্রকাশ করেছে। আমার
নামে পত্রিকায় যতগুলি অভিযোগ করা হয়েছে তা মন গড়া অথবা প্রভাবিত হয়ে
সংবাদে উপস্থাপন করা হয়েছে। শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক
সম্মেলনের দিনে এই রকম সংবাদ ছাপানো কতটা গ্রহণযোগ্য হয়েছে তা
সাংবাদিক মহোদয় ভালো বলতে পারবেন। দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকায় বগুড়া জেলা
প্রতিনিধি ও এমএম ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী লিমন বাসার গায়ের জোর
খাটিয়ে ও অর্থের লোভে বিভিন্ন ভাবে দূর্নীতি করে আসছেন। সেক্ষেত্রে
সুযোগ সুবিধা নিয়ে অন্য কাউকে হেয় করা কোনো মতেই উচিত নয়। ওই
ঠিকাদার শিবগঞ্জ সদরের ওয়াবদা ড্রেনের কাজের টেন্ডার পান সেখানে তিনি প্রায়
৬০ বছরের পুরাতুন ইট দ্বারা কাজ করেছেন যা শিবগঞ্জ পৌর বাসীর সবার জানা।
ওই ড্রেনের পানি পার্শ্ববর্তী করতোয়া নদীতে নিষ্কাশন না হয়ে উল্টো গ্রামের
প্রবাহিত হয়ে বিভিন্ন জমি প্রবেশ করছে। শুধু তাই নয় ওই ঠিকাদারী
প্রতিষ্ঠান পৌর এলাকার হাটপাড়া এলাকায় রাস্তার কাজ করেছেন তাতে রড এর
পরিমাণ কম দিয়ে প্রায় ৩/৪ ফুট দূরে দূরে রডের বাইন্ডিং দ্বারা রাস্তার ঢালায়
কাজ করেছেন। সাংবাদিক নামীয় ঠিকাদারের দূর্নীতিমূলক কাজের সরেজমিন
তদন্তের জন্য আপনাদের মাধ্যমে সত্য উদ্ঘাটনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদেরকে আহ্বান
করেন। কালের কন্ঠ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি যাদের সহযোগিতায় এ সব মিথ্যা,
বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছেন তারা জাতীয়পার্টি থেকে উঠে আসা ও
আওয়ামীলীগ বিরোধী নেতা। যাহার প্রমাণ বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এ
চিহ্নিত কয়েক জন হাইব্রিড নেতা নৌকা প্রতীক বিপক্ষে কাজ করেছে যা শিবগঞ্জ
উপজেলা বাসী জানে ও দেখেছে। ধন্যবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ করছি। জয় বাংলা,
জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরোজীবী হোক। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন
আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল লতিফ, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মান্নান সহ অনেকে।