বগুড়া নিউজ ২৪ঃ জাপানে তুষারঝড়ের কারণে ব্যাপক তুষারপাতে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ২শ ২৬ জন। গত চারদিনের টানা তুষারপাতে বরফে ঢেকে গেছে জাপান সাগর উপকূল। এছাড়া স্পেনে তুষারঝড় ফিলোমেনা’র প্রভাবে গেল ৫ দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তুষারপাত হয়েছে। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এছাড়া তুষারপাতের কারণে ব্যহত হচ্ছে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম।
চারদিনের টানা তুষারপাতে বিপর্যস্ত জাপানের ফুকুই, নিগাতা এবং টোইয়ামা প্রদেশ। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে তুষারঝড়ের কারণে জাপান সাগর উপকূলীয় অঞ্চল বরফে পুরো ঢেকে গেছে। নিগাতা প্রদেশের জোয়েতসু শহরে ১৮৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষারপাত হয়। কোথাও কোথাও ৩ মিটার পর্যন্তও বরফ পড়েছে।
ফুকুই প্রদেশের সাকাই অঞ্চলের কাছে হোকুরিকু মহাসড়কে আটকা পড়েছে হাজারের বেশি গাড়ি। এছাড়া টোয়ামা প্রদেশের টোকাই-হোকুরিকু সড়কে ২শ এবং নিগাতা প্রদেশের আরেকটি মহাসড়কে আড়াইশ গাড়ি আটকা পড়েছে। তাদের উদ্ধারে জরুরি কর্মীদের সহায়তা চেয়েছে তিন প্রদেশের স্থানীয় প্রশাসন।
এছাড়া ইশিকাওয়া প্রদেশের ওয়াজিমা, টোয়ামা প্রদেশের হিমি এবং টোট্টোরি প্রদেশের সাকাইমিনাতো শহরে অন্যান্য যেকোন বছরের চেয়ে ৭ গুণ বেশি তুষারপাত হয়েছে। নিহতদের অনেকেই গাড়িতে আটকা পড়ে ঠাণ্ডায় জমে মারা গেছেন। এছাড়া বরফ পরিষ্কার করার সময় আঘাত পেয়েও মৃত্যু হয় কয়েকজনের।
এদিকে, স্পেনের মাদ্রিদে তুষারপাতের কারণে বিভিন্ন সড়কে আটকা পড়েছেন সহস্রাধিক মানুষ। প্রায় ৭শটি সড়ক থেকে বরফ পরিষ্কার করতে কাজ করছে সেনাবাহিনী। সোমবার রাতে তাপমাত্রা কমে মাইনাস ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস হয়।
মাদ্রিদ বিমানবন্দরে রবিবার সন্ধ্যা থেকে আবারও ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। তীব্র তুষারপাতের কারণে নিরাপদে আশ্রয় নেন প্রায় ৫শ মানুষ। মাজাদাহোন্দা এলাকার শপিং মলে দুইদিন আটকে রয়েছেন শতাধিক মানুষ।
এর আগে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করায় দেশটিতে আটকা পড়েন ভ্রমণকারীরা। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের কাছে করোনার ভ্যাকসিন পৌছাতে বেগ পেতে হচ্ছে সরকারকে। পুলিশের বিশেষ গাড়িতে করে প্রায় ৩ লাখ ভ্যাকসিন পৌছানোর কাজ চলছে।
তবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্পেনের স্বাস্থ্যকর্মীদের। দায়িত্ব এবং বিবেকের টানে ঘরে থাকতে না পেরে কর্মস্থলের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা, বরফে গাড়ি আটকে গেলে হাঁটছেন মাইলের পর মাইল। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ গাড়িতে করে কর্মস্থলে পৌছে দিচ্ছেন অনেকেই। পাশাপাশি তাদের সুবিধার জন্যে সড়কের বরফ পরিষ্কার করতেও কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।