ষ্টাফ রিপোর্টারঃ প্রায় ৪ বছর পর বগুড়ায় বহুল আলোচিত মা মেয়েকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার মামলার প্রধান আসামি তুফান সরকার জামিন পেয়েছেন। রবিবার (১৭ জানুয়ারি) সাক্ষ্যগ্রহণের সময় ভিকটিম ও মামলার বাদী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তুফান সরকারের পক্ষে কথা বলেন। পরে বিচারক এ কে এম ফজলুল হক তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
বগুড়ার প্রথম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি নরেশ মুখার্জ্জী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রবিবার আলোচিত ওই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ছিল। ভিকটিম ও তার মা (বাদী) ধর্ষণ এবং নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেন। তুফানের বিরুদ্ধে তাদের কোনও অভিযোগ নেই বলেও আদালতকে অবহিত করেন। তাদের কাছে এজাহারে জোরপূর্বক সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। ভুল বোঝাবুঝি থেকে মামলাটি হয়।
আসামিপক্ষের অপর আইনজীবী বিনয় কুমার ঘোষ রজত জানান, বহুল আলোচিত ওই মামলাটি মীমাংসা হয়েছে। তাই ভিকটিম ও বাদী আদালতে তুফান সরকারের পক্ষে কথা বলেছেন। ফলে তুফান জামিন পেয়েছেন।
উল্লেখ্য: ধর্ষণের শিকার কলেজ ভর্তিচ্ছু ওই ছাত্রীর মা গত ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ভালো কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার নামে তুফান সরকার তার মেয়েকে শহরের চকসূত্রাপুরের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তুফানের স্ত্রী, বোন, মা ও অন্যরা ভিকটিম এবং তার মাকে নির্যাতন করেন। পরে নাপিত ডেকে এনে তাদের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। পুলিশ পর্যায়ক্রমে তুফান সরকারসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতার করে। তুফান সরকারকে শ্রমিক লীগ থেকে এবং তার ভাই মতিন সরকারকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। গ্রেফতারের পর অন্যরা জামিনে ছাড়া পেলেও তুফান সরকার জেলে আছেন।