চতুর্থ আন্তঃদেশীয় ট্রেন চালুর প্রস্তাব ভারতের

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ  চতুর্থ আন্তঃদেশীয় ট্রেন চালুর প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। সোমবার (১৮ জুলাই) রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের দপ্তরে এক আলোচনা সভায় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী এ প্রস্তাব দেন।

বাংলাদেশে ভারতীয় অর্থায়নে যেসব প্রকল্প চলমান ও ভবিষ্যতে যেসব প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় ভারতের পক্ষে ঢাকা থেকে কলকাতার মধ্যে চতুর্থ আরেকটি আন্তঃদেশীয় ট্রেন চালানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়।

হাইকমিশনার জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন ও মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন চালু আছে। যাত্রী চাহিদা বিবেচনা করে ঢাকা-কলকাতার মধ্যে দর্শনা হয়ে আরও একটি ট্রেন চালানো যেতে পারে। এ সময় রেলপথমন্ত্রীর ভারত সফরের বিষয়টি উঠে আসে।

মন্ত্রী জানান, তিনি ভারত সফরের সময় আধুনিক কোচ তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেছেন। ঢাকা থেকে কক্সবাজারে চালানোর জন্য উন্নতমানের ট্যুরিস্ট কোচ ভারত থেকে আমদানি করতে আগ্রহী। লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় এই কোচের পাশাপাশি ইঞ্জিন ও লাগেজ ভ্যান ক্রয়ের বিষয়ে রেলপথমন্ত্রী ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

এগুলো কেনার বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে দ্রুত করার তাগিদ দেওয়া হয়। রেলপথমন্ত্রী নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে কানেক্টিভিটিভ বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেন। সেক্ষেত্রে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটকে আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

এ সময় যে বিষয়গুলো আলোচিত হয় তা হলো, পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা নতুন রেল লাইন নির্মাণ ও বাংলাবান্ধা থেকে ভারতীয় অংশ যেখানে সংযোগ স্থাপিত হবে সেটি ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়নি। কাজেই ভারতকে এ বিষয়টি দ্রুত করার আহ্বান জানানো হয়।

ভারতীয় অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া পর্যন্ত রেললাইন। রেলপথমন্ত্রী বগুড়া পর্যন্ত লাইনকে সান্তাহার পর্যন্ত বর্ধিত করার অনুরোধ জানান। কারণ বগুড়া থেকে সান্তাহার পর্যন্ত মিটারগেজ লাইন আছে। সেখানে ডুয়েল গেজ লাইন করতে না পারলে ব্রডগেজের উপকার ভোগ করা যাবে না।

পাশাপাশি ভারতীয় অর্থায়নে খুলনা- মংলা রেললাইন, ঢাকা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত তৃতীয় ও চতুর্থ রেললাইন নির্মাণে যে সমস্যা সেটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বেনাপোল স্টেশনের আধুনিকায়ন, সিরাজগঞ্জে আইসিডি নির্মাণ, সৈয়দপুরে একটি আধুনিক মানের কোচ তৈরির কারখানা, বাংলাদেশের সহকারী লোকোমোটিভদের ভারতে ট্রেনিংয়ের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।

এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) মো. মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ