গণমাধ্যম কর্মী বিল : পরীক্ষার জন্য আরও ৬০ দিন সময় বাড়ল

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ‘গণমাধ্যম কর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল-২০২২’ পরীক্ষা করার জন্য আরও ৬০ দিন বাড়িয়ে নিলো সংসদীয় কমিটি।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু বিলটি পরীক্ষার জন্য ৬০ কার্যদিবসের সময় চান। পরে স্পিকার তার প্রস্তাবটিতে ভেটো দিলে সংসদ তাতে অনুমোদন দেয়।

এর আগে খসড়া এ আইনটি গত ২৮ মার্চ জাতীয় সংসদে তোলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। পরে বিলটি ৬০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। এরপর গত ৬ জুন ৬০ দিন সময় নেয় সংসদীয় কমিটির সভাপতি। বিলটি সংসদে ওঠার পর সংসদীয় কমিটি বিলটি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বৈঠক করেনি।

খসড়া আইনটি সংসদে ওঠার পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন এবং মালিকদের সংগঠনের অনেকগুলো ধারা নিয়ে বিরোধিতা করেছে। কেন গণমাধ্যমকর্মীর বেতনকাল এক মাসের অধিক হবে না। পরবর্তী মাসের সাত কর্মদিনের মধ্যে বেতন পরিশোধ করতে হবে।

প্রস্তাবিত আইনে বলা আছে, গণমাধ্যমে পূর্ণকালীন কর্মরত সাংবাদিক, কর্মচারী এবং নিবন্ধিত সংবাদপত্রের মালিকানাধীন ছাপাখানাসহ নিবন্ধিত অনলাইন গণমাধ্যমে বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিত কর্মীদের ‘গণমাধ্যমকর্মী’ বলা হবে।

গণমাধ্যমকর্মীদের তিনটি বিভাগ করা হয়েছে এই বিলে। সেগুলো হলো-অস্থায়ী বা সাময়িক, শিক্ষানবিশ এবং স্থায়ী।

এই বিলে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমকর্মীদের ন্যূনতম ওয়েজ বোর্ড প্রতি পাঁচ বছর পরপর গঠন হবে। ওয়েজ বোর্ড সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা, বেসরকারি টেলিভিশন, বেতার ও নিবন্ধিত অনলাইন মাধ্যমের জন্য প্রয়োজনে পৃথক পৃথক বেতন কাঠামো নির্ধারণ করবে। আগে শুধু সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার জন্য এই ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হতো।

বিলে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমকর্মীকে সপ্তাহে অন্যূন ৪৮ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। এর বেশি কাজ করাতে চাইলে অধিকাল (ওভার টাইম) ভাতা দিতে হবে। আগে গণমাধ্যম কর্মীরা চলতেন ‘দ্য নিউজ পেপার এমপ্লয়িজ (চাকরির শর্তাবলি) আইন-১৯৭৪’ এর আওতায়। এর সঙ্গে শ্রম আইনের কিছু বিষয় সাংঘর্ষিক হচ্ছিল।

পরে সাংবাদিকদেরকে শ্রম আইনের আওতায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাদের শ্রমিক হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। এই বিল পাস হলে গণমাধ্যমকর্মীরা আর শ্রমিক থাকবেন না, তাদের গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে অভিহিত করা হবে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ