একটি অপারেশনেই ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে বগুড়ার এনজিওকর্মি নাজমূল ইসলাম

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ  একটি অপারেশনের পরেই জীবনকে ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে এনজিওকর্মি নাজমূল ইসলামের। এরপর একের পর এক তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হওয়ার ফলে বর্তমানে না করতে পারছেন চিকিৎসা খরচ যোগাতে না পারছেন সংসারে পরিবারের সদস্যদের আহারের সংস্থান করতে। এ অবস্থায় নিজের শরীরের বিভিন্ন অসুখ ও পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছেন বগুড়া শহরের দক্ষিণ মালতীনগর এলাকায় বসবাসকারি যুবক নাজমূল ইসলাম। চিকিৎসকের ভুল অপারেশনের খেসারত দিতে গিয়ে নিঃস্ব নাজমুল ইসলাম আজ প্রতিবন্ধীতায় পরিণত হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তিনি সকল দ্বিধাদ্ব›দ্ব উপেক্ষা করে বেঁচে থাকার চেষ্টায় এক প্রকার ভিক্ষাবৃত্তি করে বৃদ্ধা মা, এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে জীবনযুদ্ধের কঠিন বাস্তবতায় মহাসমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছেন।
নাজমূলের পিতা ডা. খাদেম আলী ১৯৭৭ সালে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় থেকে অনার্স(ডিভিএম) পাস করে ১৯৭৮ সালে প্রাণী সম্পদ বিভাগে চাকুরীতে যোগদান করেন। প্রাণী সম্পদ বিভাগে চাকুরী লাভ করার পর তিনি বিসিএস ক্যাডারভ‚ক্ত হন। দীর্ঘ প্রায় একযুগ ভালভাবেই চাকুরী করে আসছিলেন। ১৯৯০ সালের দিকে তার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। এরপর যতই সময় অতিবাহিত হতে থাকে মানসিক সমস্যা আরও বেশি হতে থাকে। এভাবে চলতে চলতে ১৯৯৯সালের দিকে তাকে চাকুরী থেকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয়। অবসরকালিন কিছু টাকা পাওয়ায় সেই টাকা দিয়ে মালতীনগন দক্ষিণ পাড়ায় একটি বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করতে থাকেন। এ অবস্থায় ২০০৬ সালের ১৯ এপ্রিল হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে শহরের শান্তপলি ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। ক্লিনিকে ভর্তির ৬০ ঘন্টা পর ২১ এপ্রিল তিনি মারা যান। তার পারিবারিক সূত্র জানায় মৃত্যুর পর ক্লিনিকের বিল দেয়ার সামর্থ্যও তাদের ছিলনা। এ অবস্থায় তাদের এক আত্মীয় ক্লিনিকের বিল সাড়ে ৪ হাজার টাকা পরিশোধ করার পর তার মরদেহ ক্লিনিক থেকে এনে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
নাজমূলের পিতা ডা.খাদেম আলীর অবসর গ্রহণের পর থেকেই তাদের সংসারে অভাব দেখা দেয়। আর সংসারের হাল ধরতে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেই বরিশালের একটি এনজিওতে চাকুরী নেয় নাজমূল। এরপর বিভিন্ন জেলায় এবং বিভিন্ন এনজিও’তে চাকুরী করে কোনমতে চলছিল তাদের সংসার। চাকুরীর পাশাপাশি পড়ালেখাও চালিয়ে যান নাজমূল। সর্বশেষ মাষ্টার্স পাশ করেন। এদিকে ২০১৮ সালে তিনি মলদ্বারের রোগে আক্রান্ত হন এবং সাথে এ্যাজমা(শ^াসকষ্ট) দেখা দেয়। এ অবস্থায় হোমিও প্যাথিক, কবিরাজীসহ স্থানীয় বিভিন্ন চিকৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়েও কোন ফলাফল না হওয়ায় শেষে বগুড়ার সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. জাকিরুল ইসলামের পরামর্শ গ্রহণ করেন। ইতিমধ্যে তার মলদ্বারে ইনফেকশন প্রকট আকার ধারণ করায় ডা. জাকিরুল ইসলাম তাকে মলদ্বারের অপারেশনের উপদেশ দেন।
এ অবস্থায় উন্নতমানের চিকিৎসা খরচ ও সংসারের অভাবের কথা ভেবে ২০১৮ সালের দিকে ঋণদান সংস্থা আইপিডিসি’র নিকট তাদের বাড়িটি বন্ধক রেখে প্রায় ৭ লাখ টাকা ঋণ নেয়। পরে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ঢাকায় জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালে ডা. এসএম এরফান নভেম্বর মাসের ১২ তারিখে তার মলদ্বারের অপারেশন করেন। পরদিন হাসপাতাল থেকে ছুটি দেন। এর তিনদিন পর আবারো দেখে তাকে বগুড়ায় চলে যেতে বলেন। বগুড়ায় এসে মলদ্বারে ইনফেকশন আরো বেড়ে গেলে ২৪ নভেম্বর ঢাকায় গিয়ে ডাক্তারের সাথে সাক্ষাৎ করলে ওষুধ পরিবর্তন করে দেন। সেই ওষুধেও কোন কাজ না হলে ২৭ নভেম্বর ওই হাসপাতালে ভর্তি করে নিয়ে অনেক দামী দামী ওষুধ প্রয়োগ করতে থাকেন। এ ভাবে চলতে থাকায় প্রচুর টাকা খরচ হয়ে যেতে থাকে। পরে টাকার যোগান দিতে না পেরে ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখে ওই হাসপাতাল থেকে বগুড়ায় চলে আসেন।
এ্রইমধ্যে অপারেশনস্থলে গর্তের সৃষ্টি হয়ে সেখান থেকে পুঁজ গড়িয়ে পড়তে থাকে এবং এমনিতেই মল বে’র হতে থাকে। এ অবস্থায় বগুড়ায় সাইক জেনারেল হাসপাতালে যোগাযোগ করে সেখানকার চিকিৎসক ডা. জামাল-ই রাব্বীর নিকট চিকিৎসা নিতে থাকেন। সেখানে নিয়মিত ওষুধ ও ড্রেসিং করতে থাকে। ইতিমধ্যে অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে যায় যা দেখে ঘাবড়ে যান নাজমূল ও তার পরিবারের সদস্যরা। এসময় কোন কোন দিন ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসায় খরচ হতে থাকে। এ অবস্থায় ডিসেম্বর মাসেই সাইক জেনারেল হাসপাতালে আরও এক চিকিৎসক সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডা. আবুল কালাম আজাদের পরামর্শ নেয়া হয়। পাশাপাশি সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. জাকিরুল ইসলামেরও পরামর্শ গ্রহণ করা হয়। এ ভাবে ¯্রােতের টাকা খরচ হতে থাকে। তবুও ভাল হওয়ার আশায় হাল ছাড়েননি নাজমূল। চিকিৎসার টাকা যোগান দিতে দিশেহারা হয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও এনজিও’র কাছ থেকে একের পর এক ঋণ নিতে থাকেন। তবুও তার শরীরের কোন উন্নতি না হলে ২০২০ সালের ফেব্রæয়ারী মাসের ৩ তারিখে ঢাকায় ইডেন মাল্টিকেয়ার হাসপাতালের ক্লোরেক্টাল সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডা. একে ফজলুল হক এর পরামর্শ নেন। তিনি যন্ত্রপাতি দিয়ে পরীক্ষা করে জানান, ভ‚ল অপারেশন করে ওই স্থানের বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছেন। পুনরায় অপারেশন না করলে ভালো হবার সম্ভাবনা খুবই কম।
এ অবস্থায় জীবন বাঁচাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য অস্থির হয়ে পড়েন নাজমূল ও তার পরিবারের সদস্যরা। সিদ্ধান্ত নেন ভারতের চেন্নাইতে গিয়ে এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার জন্য। ভারতে যাবার আগে রাজশাহীর ব্র্যাক অফিস থেকে ৪ লাখ টাকা এক আত্মীয়দের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ও রাজশাহীর এক পরিচিতজনের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা মোট ১০ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। ইতিমধ্যে সারাবিশে^ করোনা আঘাত হেনেছে। ২০২০ সালের ১৩ মার্চ নাজমূল চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভারতে প্রবেশ করেন। করোনার বিস্তাররোধে ঐ দিন থেকেই ভারতীয় সমস্ত সীমান্ত বন্ধ হয়ে যায়।
চেন্নাইতে এ্যাপোলো হাসপাতালে বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষা করার পর চিকিৎসক জানান বাংলাদেশে যে অপারেশন করা হয়েছে তা ঠিকমত হয়নি। আবারো অপারেশন করাতে হবে। ওই হাসপাতালে ২০২০ সালের ২০ মার্চ পুনরায় মলদ্বারের অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর ১০/১২ দিনের মধ্যে ছুটি হলেও করোনায় লকডাউনের কারণে মে মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত সেখানেই আটকা পড়ে অবস্থান করতে হয়। এরপর ৩ মে তারিখে নাজমূল দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে কিছুটা সুস্থতাবোধ করলেও পাওনাদারদের রোষানলে পড়তে হয় তাকে । এ অবস্থায় সংসার চালানো ও পাওনাদারদের ঋণের টাকা পরিশোধ এবং ভারতে পুনরায় গিয়ে ফলোআপ চিকিৎসা খরচ যোগাতে চাকুরীর সন্ধান ও বাড়িটি বিক্রির চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন। এদিকে ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে বাড়ি বিক্রির পোস্টার লাগাতে গিয়ে বগুড়া শহরের ফুলতলা এলাকায় একটি দ্রæতগামী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎক জানান তার কোমড়ের নিচে উরুর একাধিক স্থানে হাড় ভেঙ্গে গেছে। ওই হাসপাতালে এপ্রিল মাসের ১১ তারিখে অপারেশন করা হয়। তার উরুর মাঝে লোহার রড দেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণে এখন প্রায় শারিরীক প্রতিবন্ধীতায় পরিণত হয়েছেন নাজমূল।
একদিকে মলদ্বারের চিকিৎসা অন্যদিকে দুর্ঘনায় উরু’র হাড় ভেঙ্গে গিয়ে তার নড়াচড়াও বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় তাদের পরিবারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্খীরা। তাদের মাঝে নাজমূলের পিতার সহপাঠি ময়মনসিংহ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের ভেটেরিনারী মেডিসিন বিভাগের সাবেক ডীন ডা. গোলাম শাহী আলম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি তার বন্ধ-বান্ধবসহ পরিচিতজনদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে ওই পরিবারের প্রতি সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। সহযোগিতা করতে করতে তিনিও প্রায় হাফিয়ে উঠেছেন। এদিকে কোন উপায় না দেখে গত ২ জুলাই নাজমূল ইসলাম তার অবস্থার বিষয়ে বিষদ বিবরণ উল্লেখ করে সমাজের স্বচ্ছল ব্যক্তিদের সাহায্য সহযোগিতা পেতে বগুড়া প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনের পর তার সহযোগিতায় কোন ব্যক্তির সাড়া মেলেনি।
নাজমূলের উরুর মাঝে যে রড ঢোকানো হয়েছিল তা বে’র করার সময় না হলেও সেখানে ইনফেকশন দেখা দিয়েছে। অপারেশন করে ওই রড বে’র করতে প্রায় আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা খরচ হবে। এ ছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনার পর থেকে নাজমূল দুই চোখের কর্ণিয়া ও থাইরয়েড’র সমস্যায় পড়েন। গত জুলাই মাসের ১৩ তারিখে তিনি আবারো ভারতের চেন্নাইতে যান তার পায়ের চিকিৎসা, চোখ দেখানো এবং মলদ্বারের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য। তার মলদ্বারের সমস্যার অনেকটা উন্নতি হলেও চেন্নাইতে ইন্ডোসকপি করে ডাক্তার বলেছেন দার ডিউডেনামে(স্মল স্টমাকে) বিচ্ছিন্ন ঘা দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। ওষুধের পাশর্^ প্রতিক্রিয়ায় বর্তমানে নাজমূলের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ’র সমস্যা দেখা দিয়েছে। চোখের চিকিৎসক জানিয়েছেন তার দুই চোখের কর্ণিয়ার ওয়েলের যে নালী থাকে তা বøক হয়ে যাওয়ায় শুস্ক হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় কৃত্রিম ওয়েল দিতে হচ্ছে যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এ অবস্থায় তার বাম চোখ শুস্ক হয়ে ঘর্ষণে চোখের মণি’তে ঘা’র সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের চিকিৎসকরা বলেছেন চোখের ভবিষ্যৎ কি হবে তা বলা যাচ্ছে না। ভারতের চেন্নাইয়ের নেত্রালয়ে চোখের চিকিৎসা করাতে গিয়ে টাকার যোগান দিতে না পেরে গত ৯ আগস্ট দেশে ফিরে ঢাকার ইস্পাহানী ইসলামিয়া হাসপাতালের কর্ণিয়া বিভাগে ডা. চন্দনা সুলতানার পরামর্শ নেন। ওই চিকিৎসক বলেছেন চোখের মণি’তে মারাত্মক ইনফেকশন দেখা দিয়েছে। যেটা নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক টাকা ব্যয় হবে। নাজমূলের চিকিৎসার পেছনে ঘুরতে ঘুরতে একমাত্র শিশু সন্তানের পড়াশোনাও দুই বছর যাবৎ বন্ধ ছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতনে পেরে ঢাকায় বসবাসকারি জনৈক নারী ওই ছেলেটির লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন। ওই নারীর সহযোগিতায় নাজমূলের ছেলেটিকে গত জানুয়ারী মাসে বগুড়া ওয়াইএমসিএ স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি করে দেয়া সম্ভব হয়েছে।
একদিকে মলদ্বারের সমস্যা, দুর্ঘটনায় উরুর মাঝে রড ঢোকানে, চোখের সমস্যা, ডিউডেনামে আলসার, থাইরয়েডের সমস্যা, দেখা দিয়েছে হার্টের সমস্যা, পায়ের আঙ্গুলে ফাঙ্গাস যা এক আঙ্গুল থেকে অন্যান্য আঙ্গুলে ছড়িয়ে পড়ছে নাজমূলের শরীরে। অন্যদিকে তার পাওনাদারেরা উঠেপড়ে লেগেছে ঋণ নেয়া টাকা ফেরতের জন্য। বিশাল একটা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে চলছে নাজমূলের পরিবার। অর্থ প্রদানকারি সংস্থাসহ অন্যান্য পাওনাদার’রা মাঝে মধ্যেই তার একমাত্র মাথা গোজার ঠাঁই বাড়িটি বিক্রি করে হলেও তাদের টাকা পরিশোধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছে।
নাজমূলের মা মোছা: নার্গিস আরা বেগম বলেন, ছেলের চিকিৎসার যোগান দিতে গিয়ে তাদের বিশাল অঙ্কের টাকার ঋণ হয়ে গেছে। তারপরেও একমাত্র ছেলের শরীর সুস্থ হয়নি। পাওনাদারেরা একমাত্র মাথা গোঁজা ঠাঁই বাড়ীটি বিক্রি করে তাদের টাকা পরিশোধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছে। বাড়িটি বিক্রি করে দিলেও ঋণ শোধ হবে না। তারপরেও বাড়ি বিক্রি করে দিলে বৃদ্ধ বয়সে পথে পথে ঘুরতে হবে।
নাজমূল ইসলাম বলেন, ঢাকার ওই হাসপাতালের চিকিৎসক অপারেশনে ভ‚ল করার ফলে তার জীবন আজ ধ্বংশের পথে। অপারেশনের পর থেকে শরীরে বিভিন্ন প্রকার জটিল রোগ বাসা বেধেছে। অন্যদিকে খরচ যোগন দিতে গিয়ে আজ নি:স্ব হয়ে গেছি। যে পরিমাণ ঋণ হয়েছে তা এ রকম ৪টা বাড়ি বিক্রি করেও শোধ হবে না। আমাকে আর অত্মাহুতিও দিতে হবে না। চিকিৎসার যোগান দিতে না পারলে এমনিতেই আমাকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হতে হচ্ছে। আর্থিক সহযোগিতার জন্য সংবাদ সম্মেলন করে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেও তেমন সাড়া পাইনি। এ অবস্থায় পাওনাদাররা বাড়ি থেকে বে’র করে দিলেও করার কিছুই থাকবে না। পথের ধারে গিয়ে অবস্থান করতে হবে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ