ভারতীয় মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে কম সময়ে মাত্র ১৬ দিনে এভারেস্টের শিখরে পৌঁছেছিলেন সবিতা। ছন্দা গায়েনের পর সবিতা কাঁসওয়ালই হলেন এভারেস্টজয়ী দ্বিতীয় নারী, যিনি হিমালয়ে তুষারধসে মারা গেলেন। বুধবার (৫ অক্টোবর) তার মৃত্যুর কথা জানায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। খবর ডয়চে ভেলের।
গত মে মাসে সবিতা ১৫ দিনের মধ্যে এভারেস্ট ও মাকালুর শিখরে ওঠেন। তিনি মাত্র ১৬ দিনে এভারেস্টে উঠেছিলেন। তারপর তিনি নেহরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিংয়ে পুরো সময়ের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দেন।
এবার তিনি প্রশিক্ষণরত ছাত্রছাত্রী এবং অন্য প্রশিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়ালে দ্রৌপদী কা ডান্ডা ২ নামে একটি পর্বতের শিখরে উঠছিলেন। দলে মোট ৪১ জন ছিলেন। এই শৃঙ্গের উচ্চতা পাঁচ হাজার ৬৭০ মিটার। তবে এই শৃঙ্গে ওঠার পথ বিপদসংকুল বলে পরিচিত।
সবিতারা দ্রৌপদী কা ডান্ডা ২-এর শিখরে উঠছিলেন। ডোকরানি হিমবাহের কাছে তারা শিবির তৈরি করেছিলেন। সেখানেই হঠাৎ বিপুল পরিমাণ তুষার নেমে আসে। তাতেই চাপা পড়ে যায় সবিতাদের শিবির। মাত্র ২৬ বছর বয়সেই থেমে যায় এই পর্বতারোহীর জীবন।
শিবিরে সবিতাসহ নয়জন প্রশিক্ষক ছিলেন। আর ছিলেন পর্বতারোহীরা। এর মধ্যে বাংলার তিনজন পর্বতারোহী ছিলেন। তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
সবিতাসহ মোট চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে সেনা এবং ইন্দো-টিবেটান সীমান্তরক্ষীরা। ১২ জনকে জীবন্ত উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।
সাধারণত এখানে তুষারধস নামে না। কিন্তু গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কেদারনাথ অঞ্চলে মোট চারটি তুষারধস হয়েছে। অন্য তিনটি ঘটনায় কেউ মারা যাননি।
সৌজন্যে : ডয়চে ভেলে