গাইবান্ধার উপনির্বাচন প্রমাণ করে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গাইবান্ধার উপনির্বাচন স্থগিত, এটাই প্রমাণ করেছে যে, দলীয় সরকার তথা আওয়ামী লীগের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্বাচনকালে কোন দল ক্ষমতায় থাকছে, কার অধীনে কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে। সেক্ষেত্রে যদি দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকে তবে তার অধীনে সেই নির্বাচন কখনোই সুষ্ঠু হতে পারে না। মির্জা ফখরুল বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি কার্যালয়ে দলের এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মত বিনিময়কালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহসভাপতি আল মামুন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ বিএনপি অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল আরো বলেন, গাইবান্ধার উপনির্বাচনে সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করেও সুষ্ঠু করতে না পারায় নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেছে কমিশন।

নির্বাচন নিয়ে কি হলো সে বিষয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই। শুধু নির্বাচন ব্যাবস্থা নয়, সমস্ত দেশকে যারা বিপদগ্রস্ত ও গণতন্ত্রকে যারা হরণ করেছে, যারা দেশকে ব্যার্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে তাদেরকে সরিয়ে একটি তত্বাবধায়ক সরকার বা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্যদিয়ে নির্বাচন চায় বিএনপি। তারই উদ্দ্যেশে আন্দোলন শুরু করেছে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার পতনে বিএনপির আন্দোলনের তৃতীয় পর্যায় শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম থেকে। যেখানে লক্ষ মানুষের ঢল নেমেছে। ঢাকার মহাসমাবেশ সেটাকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আমরা আশা করি। এভাবেই এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটবে।’

গাইবান্ধার নির্বাচন বন্ধ ঘোষণার কারণ সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন বন্ধ বিষয়টি নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী লীগের বিষয়। ভাগবাটোয়ারা ঠিকমতো না হওয়ার কারণে হয়তো এই ঘটনাগুলো ঘটেছে।

প্রধানমন্ত্রীর এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল আরো বলেন, দুর্ভিক্ষ নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর। সামনে যদি দুর্ভিক্ষ হয় তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন কেন? দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা করতে না পারলে প্রধানমন্ত্রী থাকার প্রয়োজন নেই।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ