যুক্তরাষ্ট্রে বার্ড ফ্লুতে ৪ কোটি ৭০ লাখ মুরগির মৃত্যু

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রামক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বার্ড ফ্লুতে রেকর্ড সংখ্যক মুরগি ও টার্কির মৃত্যু হয়েছে। আগের ধরনের চাইতে নতুন এক ভিন্ন ইনফ্লুয়েঞ্জায় বন্য পশুপাখি সংক্রমিত হয়েছে। দেশটিতে এ বছর এখন পর্যন্ত ইনফ্লুয়েঞ্জায় ৪ কোটি ৭০ লাখের বেশি মুরগি মারা গেছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এজন্য দেশটিতে ডিম এবং টার্কির উৎপাদন কমেছে। এছাড়া কর্তৃপক্ষ রফতানি নিষেধাজ্ঞাকে উৎসাহিত করেছে। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার এই প্রাদুর্ভাব দেশটির ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতিতে হিমশিম খাওয়া ভোক্তাদের অর্থনৈতিক যন্ত্রণা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণী ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল ২০১৫ সালে। তখন দেশটিতে প্রাণঘাতী এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাবে ৫ কোটি ৫ লাখ মুরগি মারা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) প্রধান ভেটেরিনারি কর্মকর্তা রোজমেরি সিফোর্ড জানান, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রামক এইচ৫এন১ ধরনের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন কৃষকরা। সাধারণত ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রায় এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাব কমে গেলেও গ্রীষ্মকালে এই ধরনটি টিকে থাকে।

এইচ৫এন১ এর মতো প্রায় একই রকমের আরেকটি ধরন ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ছে। এই ধরনটি ‘গুয়াংডং’ বংশীয় নামে পরিচিত। ইউরোপ ইতোমধ্যে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এই অঞ্চলে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ৫ কোটি মুরগি মেরে ফেলা হয়েছে।

সিফোর্ড আরও জানান, কর্মকর্তারা অতীতের তুলনায় বর্তমানে হাঁসের মতো বন্যপ্রাণীর শরীরে এইচ৫এন১ ধরনটি বেশি পরিমাণে শনাক্ত করছেন। মনে হচ্ছে বন্যপ্রাণীর শরীরে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার এই ধরনটি দীর্ঘসময় বেঁচে থাকে।

আগামী বছরের গ্রীষ্ম পর্যন্ত সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ভাইরাসটি অদূর ভবিষ্যতে বন্য পাখিদের মধ্যেও বিস্তার ঘটাতে পারে।

মিনেসোটা টার্কি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাশলে কোহলস জানান, আগস্টে সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা ছিল। কিন্তু এরপরও সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে পুনরায় উৎপাদন শুরু করতে প্রায় ছয় মাস সময় লাগতে পারে।

এর প্রভাবে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত টার্কির উৎপাদন কমে যেতে পারে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ