সিরাজগঞ্জ বাগবাটী হাটে জলপাই বিক্রির ধুম

তারিকুল আলম, সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটীতে জলপাই হাট এখন সরগরম। মৌসুমজুড়ে জমজমাট এ হাটে প্রতিদিন জলপাই বিক্রি করতে আসেন শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও চাষি। মান ও গুণের কারণে চাহিদা বেশি রয়েছে এখানকার জলপাইয়ের। ফলে ভালো দামও পাচ্ছেন বাগান মালিকরা।

(২৩ অক্টোবর) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা স্থানীয়দের কাছ থেকে জলপাই কিনে বাছাইয়ের পর বস্তায় ভরছেন।

হাটে জলপাই বিক্রি করতে আসা ঘোড়াচরা গ্রামের মিঠুন আলী বলেন, মৌসুম শুরুর আগেই আগাম জামানত দিয়ে বাগান কিনে নেন ব্যবসায়ীরা। তবে আমি আমার বাড়ির আঙিনায় লাগানো গাছ বিক্রি করেননি। সেখান থেকে দু-একদিন পরপর দুই মণ করে জলপাই এ হাটে এনে বিক্রি করি।

আমিনুল বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ হাটে ব্যবসায়ীরা আসেন। জলপাই পরিপক্ব হলে নিজেরাই বাগান থেকে তুলে নিয়ে যান। প্রতিদিন জলপাই হাট ছাড়াও রবি ও বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক হাট বসে।

ব্যবসায়ী আনসার আলী বলেন, এ মৌসুমে ১৫ জন মিলে প্রায় ২০ লাখ টাকার জলপাই বাগান কিনেছি। পরিবেশ ভালো থাকলে বাগান থেকে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার জলপাই বিক্রির আশা করছি।

ব্যবসায়ী সোহাগ হোসেন জানান, হাটে গড়ে প্রতিদিন ৪-৬ লাখ টাকার জলপাই বিক্রি হয়। প্রকারভেদে প্রতি কেজি জলপাইয়ের দাম থাকে ১২-৩৫ টাকা। এখানে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ২০-২৫ টন জলপাই বেচাকেনা হয়।

স্থানীয় হাসনা গ্রামের হযরত আলী জানান, জলপাইয়ের ছোট-বড় অনেক বাগান রয়েছে এ এলাকায়। আরও নতুন নতুন বাগান গড়ে উঠছে। জলপাইয়ের ভালো দাম পাওয়ার কারণে চাষিদের মধ্যে বাগান করার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে।

বাগবাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু বিপণন ব্যবস্থার কারণে এখানকার অর্থনৈতিক অবস্থা সমৃদ্ধ হচ্ছে। এ হাটে জলপাই বিক্রি হয় সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ বাবলু কুমার সূত্রধর জানান, অর্থকারী ফসলের পাশাপাশি মাল্টা, কমলা, পেয়ারা, জাম্বুরা এবং জলপাই চাষে আশাতীত সাফল্য মিলেছে। এ কারণে ফল চাষ বাড়ছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ