স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক দুলাল অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াছমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, বগুড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বগুড়ার সাবেক কমান্ডার রুহুল আমিন বাবলু, রেজাউল করিম মন্টু, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক।
অন্যান্যের মধ্যে সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কুমার পাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মোঃ কাওসার প্রমুখ। আলোচনা সভায় বক্তারা জাতির জনককে স্মরণ করে তার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পরই মানুষ মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিলে। জাতির জনকের ডাকে এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা মুক্তি যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে দেশকে রক্ষা করেছে। পাকিস্থানী হানাদার মুক্ত করেছে দেশ।
এই সরকার বীরদের অসামান্য অবদানের কথা ভুলে যায়নি। তাদের যথাযত সন্মান দিয়ে আসছে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্য ও বীর মুক্তযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ৪৭২ জই মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ৫শ টাকা করে প্রাইজবন্ড দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছাড়াও বিজয় দিবস উপলক্ষে সকল সরকারি, বেসরকারি ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাসভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং পুলিশ লাইন্স শুটিং রেঞ্জে উন্মুক্ত শুটিং প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠিত হয়।
আজ শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশু চিত্রাঙ্কন, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ। এছাড়াও সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক বিরোধী কার্যক্রমে জনমত সৃষ্ঠির জন্য আলোচনা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং জাতির অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে সকল মসজিদসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসানালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। আজ শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা দেড়টায় সকল হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, শিশু পরিবার, মূক ও বধির উচ্চ বিদ্যালয় এবং ভবঘুরে কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন।
আজ শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামে মহিলাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। বিকেল সাড়ে ৩টায় জিলা স্কুল মাঠে জেলা প্রশাসন দল বনাম পৌরসভা ও মুক্তিযোদ্ধা দলের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও সকল মসজিদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ফাউন্ডেশনের আয়োজনে দোয়া, মিলাদ ও হামদ-নাত প্রতিযোগিতা এবং পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও সন্ধ্যা ৬ টায় সাতমাথাস্থ মুজিবমঞ্চে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।