স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসে ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলা সংসদের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ধ্যায় স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসের শহীদদের স্মরণে বগুড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়েছে। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে শহীদ মিনারের পাদদেশে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলা সংসদের সভাপতি ছাব্বির আহম্মেদ রাজ এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ রহমান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আলোচনা করেন ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি জহর লাল রায়, সাদ্দাম হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক তামজীদ হায়দার চঞ্চল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সহ-সভাপতি মাইন হোসেন, গাইবান্ধা জেলা সংসদের সভাপতি তাহমীদ চৌধুরী, বগুড়া জেলা সংসদের সহ-সভাপতি সাগর পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় ভৌমিক প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, “১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে জাফর, জয়নাল, দীপালি, কাঞ্চনসহ নাম না জানা আরো অনেকে শহিদ হন। তার পর থেকে এদেশের ছাত্রসমাজ এই দিনটিকে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।”
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “বর্তমান সরকারের স্বৈরাচারিতা এরশাদ সরকারকে ছাপিয়ে গিয়েছে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে বাণিজ্যে পরিণত করেছে। শিক্ষাব্যবস্থা চলছে “টাকা যার শিক্ষা তার” এই নীতির ভিত্তিতে। আরেক দিকে সরকার সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পকে পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে কোমলমতি শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। সরকার যেকোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমনের জন্য রাষ্ট্রীয় বলপ্রয়োগের নীতি গ্রহণ করেছে । ভিন্নমত হলেই তার উপরে নেমে আসে আক্রমন; যেটা আমরা দেখেছিলাম মজিদ খান শিক্ষানীতি বাতিলের সেই আন্দোলনে স্বৈরশাসক এরশাদ সরকার করেছিলেন। বর্তমানেও স্বৈরশাসক বলবৎ আছে। যেটা আমরা বিশ্বিবদ্যালয়গুলোর দিকে তাকালেই দেখতে পাই। একদিকে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ-বেসরকারীকরণ চলছে অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রসাশনের ছত্র ছায়ায় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী, লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিনত হয়েছে।”
এছাড়া সমাবেশ থেকে বক্তারা জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২০ বাতিল, ভুলে ভড়া নিন্মমানের ছাপাপা ঠ্যপুস্তক বাতিল, সকল শিক্ষা উপকরণের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার এবং ন্যায্যমূল্যে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহের দাবি জানান। -খবর বিজ্ঞপ্তী