দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক ধোঁয়াশা

বিগুড়া নিউজ ২৪ঃ ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে না-কি ২০২৩ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন- এ নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। এই মুহুর্তে বিএনপিকে অপ্রস্তুত রেখে অক্টোবরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এমন একটি সম্ভাবনাকে ঘিরে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচন। সরকারের এমন চিন্তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে।

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট। ইতিমধ্যে তাদের ১০টি বিভাগীয় সমাবেশে ব্যপক জনসমাগমে উজ্জীবিত দলের নেতা-কর্মীরা। কিন্তু নির্বাচনী মাঠে তাদের অনুপস্থিতি এবং দৃশ্যমান কোন কর্মকাণ্ড না থাকায় বিএনপিকে অপ্রস্তুত রেখেই নির্বাচনের আয়োজন করতে পারে সরকার। ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে বড় ধরনের চমক সৃষ্টি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের মন্ত্রী-এমপি ও নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী মাঠে নামিয়ে দিয়েছেন।

সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাঙিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।’ সে অনুযায়ী অক্টোবরের প্রথমার্ধ থেকে আগামী জানুয়ারির প্রথমার্ধের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার সুযোগ রয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে। এতে প্রচলিত আইনের কোন ব্যত্যয় ঘটবে না।

সংবিধানের এই অনুচ্ছেদের সুযোগ নিতে পারে সরকার। বিএনপির চলমান আন্দোলনের মধ্যে আইনের মধ্যে থেকে নির্বাচন আয়োজন করলে সরকার বিএনপির প্রস্তুতির ঘাটতির সুবিধা পেতে পারে। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে এমন কোন ধারনা বা এমন সিদ্ধান্তের কথা এখনও জানানো হয়নি। নির্বাচন কমিশনও অক্টোবরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা জানায়নি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সরকারের আগাম নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এক বছর আগেই নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করে দেওয়ার ব্যাপারে বিশেষ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তাঁরা বলেন, সরকার কখনোই চাইবে না বিএনপি নির্বাচনের প্রস্তুতিতে এগিয়ে থাকুক। তবে এ বিষয়টি নিয়ে এখনই কিছু ভাবছে না তারা। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে চায়। যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকেও একই বার্তা দেওয়া হয়েছে। যাতে আসন্ন রমজান ও ঈদের পরে অলআউট আন্দোলনে যেতে পারে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, আমরা এখন আন্দোলন ও দল গোছাতে ব্যস্ত। এরই মাঝে নির্বাচনী প্রস্ততি সম্পন্ন হচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগ যে প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের আয়োজন করুক না কেনো আমরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া নির্বাচনে যাবো না। সরকার আগাম নির্বাচনের চেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা প্রতিহত করবো।

তিনি বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান ছাড়া সরকারের হাতে বিকল্প কিছু নেই। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিতে হবে। ২০১৪ সাল এবং ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করলে তার পরিণতি ভালো হবে না।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮