যাত্রীদের ধাক্কায় ঘোরে গাড়ির চাকা

সুরামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জামালগঞ্জ উপজেলা থেকে সুনামগঞ্জের সড়কটি এখন বেহালদশা।দেড়-দশক আগে কাচা রাস্তাটি পাকা করা হয়েছিল। তার পর থেকে আর কোন সংস্কার হয়নি। রাস্তায় পিচ পাথর ইটে খানা-খন্ডে পরিনত হয়েছে। অনেক জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এবস্থায় প্রতি নিয়ত গর্তে পড়ে যানবাহন বিকল হয়ে যায়। বিগত বন্যায় জামালগঞ্জ সদরে তেলিয়া শাহপুর রাস্তা, উজ্জলপুরে ও জাল্লাবাজ গ্রামের পাশে বড় ধরনের ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। যদিও রাস্তাটিতে মাটি ফেলা হয়েছে। পাকা করন না করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় গাড়ির চাকা ডেবে যায়। ছোট খাট যান বাহন বিকল হয়ে পড়ে সড়কের মাঝখানে। তখন যাত্রীরা গাড়ী থেকে নেমে ধাক্কা দিয়ে যানবাহন গুলোকে পারাপার করতে হয়। এমন চিত্র গত সোমবার জামালগঞ্জ সংলগ্ন তেলিয়া শাহপুর বাধে দেখা যায়।
জামালগঞ্জ থেকে সুনামগঞ্জ জেলা শহরে যেতে একমাত্র রাস্তা এটি। এই রাস্তায় চলাচল করছে কয়েক লাখ মানুষ। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি টেকসই মতো নির্মিত না হওয়ায় এই সড়কে চলছে অহরহ দুর্ঘটনা।
ভয়াবহ বন্যায় জামালগঞ্জ সুনামগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গা, খানাখন্দ ও বেহাল দশার কারনে মুমুর্ষ রোগীরা অন্তহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এই সড়ক দিয়ে জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, মধ্যনগর, ও মোহনগঞ্জ উপজেলার লাখো যাত্রী সড়ক পথে চলাচল করেন। সড়কের ভাঙ্গাচোরা আর গর্ত হওয়ার কারনে দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ছেনা যাত্রীদের।
এছাড়াও এই সড়ক দিয়ে জামালগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সুনামগঞ্জ কিংবা সিলেটে কোন জরুরী রোগী নিয়ে যেতে পারছেনা এ্যাম্বোলেন্সে। অতিতেও এই সড়কে খানাখন্দও ভাঙ্গাচুড়ার কারনে দুর্ঘটনার আহত নিহতের খবর ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। কোন রুগী নিয়ে জামালগঞ্জ থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে যেতে ভাঙ্গাছুড়াও খানা খন্দের কারনে হাসপাতালে পৌছানোর আগেই গাড়ীতে অনেক রোগীর মৃতে্যুর খবর পাওয়া গেছে। সিএনজি, লেগুনা, লোকাল রিকসা, টমটম, ঢেলা গাড়ী, মোটর সাইকেল সহ ছোটখাট যান চলাচলে করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
এই সড়কে জামালগঞ্জ তেলিয়া, শাহপুর, বাজারের মাঝখানে বিগত বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে নতুন মাটি ফেলায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, যাত্রী, রোগী ও অফিস আদালতে আসা যাওয়ার লোকদের মাত্রাতিরিক্ত দুর্ভোগের স্বীকার হতে হচ্ছে।
এব্যপারে ভীমখালী ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান তালুকদার বলেন, জামালগঞ্জ সুনামগঞ্জ রাস্তা দিয়ে সরকারি বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম্বোলেন্স প্রতিনিয়তই যাতায়াত করে থাকে। এই রাস্তাই ধর্মপাশা, মধ্যনগর ও জামালগঞ্জের যাত্রীরা প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন। বিগত বন্যায় রাস্তাটির ৪ জায়গায় ভেঙ্গে বড় গর্ত হয়ে যায়। যার কারনে আমরা জনগনের চলাচলের স্বার্থে দ্রুত গতিতে মাটির কাজ সম্পূর্ন করেছি। ইতিমধ্যেই ইট সলিংয়ের কাজ করা শুরু হয়েছে। স্থায়ীভাবে টেকসই উন্নয়নের জন্য এসিয়ান ডেভোলাপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে মেঘা প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি পাস হয়ে আসলে দ্রুত টেন্ডার প্রক্রিয়াই যাবে।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আব্দুল মালেক মিয়া জানান, বর্তমানে ইমার্জেন্সী মেইনটিনেন্সে চারটি বড় ভাঙ্গায় কাজ চলাচল আছে। যা এসপ্তাহের মধ্যে সমাপ্ত হবে। পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে রাস্তাটি করার জন্য এডিপিতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি পাস হলে বড় আকারে টেন্ডারে যাবে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০