ঈদে স্বর্ণালঙ্কারের বিকল্প ইমিটেশনে ঝুঁকছে তরুণীরা

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ কয়েক দিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ আনন্দকে জোগান দিতে কেনাকাটার যুদ্ধে ক্লান্তিহীন ছুটছেন নগরবাসী। এখন নতুন পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গহনা কিনতে সবাই ছুটছেন গহনা ও প্রসাধনীর দোকানে। কেউ নিজের জন্য, আবার কেউ উপহার দেওয়ার জন্য কিনছেন।

দামে সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য হওয়ায় ঈদের বাজারে চলছে ইমিটেশনের গহনার দাপট। এসব গহনা দেখতে একেবারে সোনার মতোই চকচকে ও দৃষ্টিনন্দন। এসব কিনতে দোকানে ভিড় করছেন তরুণীরা।

রাজধানীর নিউমার্কেট মার্কেট ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়ে। এসব মার্কেটের ইমিটেশন ও রুপার গহনার দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, তরুণী ও নারীরা দামদর করছেন। ঈদে শাড়ি বা থ্রি-পিসের সঙ্গে মিলিয়ে পড়ার জন্য আংটি, চুরি ও গলার হার, ব্রেসলেট কিনছেন।

দেখা যায়, দোকানিরা গলার হার, চুড়ি, টিকলি, নাকফুল, পায়েল, নূপুর, গলার চেন, বাজুবন্ধ, ব্রেসলেট, আংটি, নথ, কানের দুল, লকেট, ঝুমকাসহ অসংখ্য গহনার পসরা সাজিয়ে বসেছেন। এসব গহনা আসল স্বর্ণ বা রূপার তৈরি নয়।

তামা, পিতল বা ব্রোঞ্জের মতো সহজলভ্য ও কমদামী ধাতু দিয়ে নিখুঁতভাবে তৈরি করার পর দৃষ্টিনন্দন করতে গ্যালভানাইজিং পদ্ধতির মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে সোনালী প্রলেপ৷ ব্যস এটুকুতেই স্বর্ণের বিকল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে ইমিটেশন বা ‘নকল স্বর্ণ’। আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ইমিটেশনের তৈরি এসব গহনা।

বিক্রেতারা বলছেন, দামে কম ও মানে ভালো হওয়ার কারণে বর্তমানে স্বর্ণের জায়গা অনেকটা দখল করে নিয়েছে এসব ইমিটেশনের গহনা। একটা সময় নারীর অলংকার বলতেই শুধু স্বর্ণ ও রূপার গহনা বোঝালেও গত কয়েক বছরে পাল্টে গেছে সেই চিত্র। শুরুতে ইমিটেশনের গলার চেইনসহ ছোট ছোট কয়েকটি গহনা তৈরি করা হলেও এখন এর বিস্তার ঘটেছে।

এমন কোনো গহনা নেই যা ইমিটেশনের হয় না। বিয়ে, গায়ে হলুদ, পার্টি কিংবা ঘরোয়া অনুষ্ঠানসহ সবকিছুতেই ইমিটেশনের ব্যবহার উপযোগী গহনা রয়েছে। স্বর্ণ-রূপার গহনার চেয়ে দাম অনেকটা কম হওয়ায় ক্রেতাসাধারণের মধ্যে ইমিটেশনের গহনার চাহিদাই বেশি।

দোকানিরা বলছেন, সবাই ঈদের শাড়ি বা থ্রি-পিসের সঙ্গে ম্যাচিং করে পরতে অলংকার নিচ্ছেন। হোয়াইট গোল্ডের আদলে বানানো গহনার চাহিদাও বেশ ভালো। এসব গহনার দাম ক্রেতাদের হাতের নাগালে হওয়ার কারণে ভালো সাড়া পাচ্ছি। তিনশ টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার টাকা দামের গহনা রয়েছে। দাম নির্ভর করছে এর ওজন ও স্টাইলের ওপর।

অল্প টাকায় স্বর্ণের মতোই দেখতে ভারী গহনা কিনতে পেরে সন্তুষ্টির কথা জানালেন ক্রেতারাও। তাই ক্রেতারা বলছেন, স্বর্ণের গহনার দাম অনেক বেশি। ঈদসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে পরার জন্য ইমিটেশনের গহনা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি উপযোগী৷ গলার হার থেকে শুরু করে পায়ের নূপুর ও পায়েল পর্যন্ত সবকিছুই মিলছে অল্প টাকায়। ইমিটেশনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এ বছর এক ধরনের ডিজাইনের গহনা কিনলে পরের বছর আরেক ধরনের কেনা যায়।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০