কাঁচা আম দিয়ে মুরগির ঝোল

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ কাঁচা আম নানাভাবে খাওয়া যায়। গরমে আম মেখে খেতে কার না ভালো লাগে। অনেকেই কাঁচা আম দিয়ে আচার বানাচ্ছেন। কেউবা ডাল দিয়ে রান্না করে খাচ্ছেন। চাইলে কাঁচা আম দিয়ে মুরগির মাংসের ঝোল রান্না করতে পারেন। খেতে দুর্দান্ত। জানুন কাঁচা আম দিয়ে মুরগির ঝোল তৈরির প্রণালি।

উপকরণ

মুরগির মাংস
কাঁচা আম
আলু
পটল
দই
পেঁয়াজ
আদা
তেজপাতা
শুকনো মরিচ
হলুদ গুড়া
মরিচ গুড়া
লবণ
চিনি
ঘি
তেল

mango 2প্রণালি

মুরগির মাংস ভালো করে ধুয়ে নিন। পেঁয়াজ এবং আদা খোসা ছাড়িয়ে বেটে নিন। এবার দই, পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, সামান্য লবণ এবং খানিকটা ঘি ভালো করে মিশিয়ে মাংসতে মেখে নিন। কম করে চার ঘণ্টা মাংস ম্যারিনেট করতে হবে। কাঁচা আম মিহি করে কুচিয়ে নিন। আমের পরিমাণটা খেয়াল রাখতে হবে। এক কেজি মুরগির মাংসের জন্য অর্ধেক কাপ আম কুচি দরকার।

আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিন। পটলের খোসা ছাড়াবেন। আলুর বড় বড় পিস হবে (মাংসের আলু যেমন হয়)। পটল ছোট হলে পুরোটা, বড় হলে দুই পিস করে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে সামান্য লবণ এবং হলুদ মেখে আলু এবং পটল ভেজে তুলে রাখুন।

কড়াইয়ে ঘি গরম করে তাতে তেজপাতা এবং শুকনা মরিচ ফোঁড়ন দিন। ফোঁড়নের সুগন্ধ উঠলে তাতে ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে দিন। তাতে দিয়ে দিন সামান্য লবণ, চিনি, হলুদ এবং মরিচের গুড়া। সমস্ত উপরকরণ খুব ভালো করে কষাতে থাকুন। প্রয়োজন মতো অল্প অল্প করে পানি দেবেন। খেয়াল রাখবেন কড়াইয়ের তলা যেন পুড়ে না যায়। যতক্ষণ না মাংসের রং পরিবর্তন হচ্ছে ততক্ষণ মাংস কষিয়ে যান।

রং বদলালে তাতে দিয়ে দিন গরম পানি, কাঁচা আম, ভাজা আলু এবং পটল। সমস্ত উপরকরণ ফের ভালো করে মিশিয়ে নিন। যতক্ষণ না মাংস নরম সিদ্ধ হচ্ছে ততক্ষণ অল্প আঁচে মাংস কষিয়ে যান। মাংস নরম হয়ে গেলে ঝোল ঘন করার জন্য কষাতে হবে। রান্না হওয়ার পর কড়াই বেশ কিছুক্ষণ ঢেকে রাখবেন। গরম গরম ভাতের সঙ্গে কাঁচা আম দিয়ে তৈরি এই মাংসের পদটি পরিবেশন করুন।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০