বগুড়া নিউজ ২৪: একটি খাসির ওজন ৯৫ কেজি। দাম ১ লাখ ২০ হাজার টাকা! বিদেশি জাতের খাসি পালন করে স্থানীয়দের চমকে দিয়েছে স্কুলছাত্র ওমর। খাসিটির নাম রাখা হয়েছে ‘মিঠু’। ৩ বছর যাবত খাসিটি সে লালনপালন করছে। ছাগল উচ্চতায় বড় এবং দেখতে সুন্দর হওয়ায় তার খাসিটি এলাকায় সাড়া ফেলেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাজবাড়ী পৌর পশু হাটে এই খাসিটিকে তোলা হলে একনজর দেখতে ভিড় করেছিলেন অনেক দর্শক। বিশেষ করে হাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের নজরের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল খাসিটি। জেলার হাটে এটাই সবচেয়ে বড় খাসি।
সরেজমিনে পশু হাটে গিয়ে দেখা যায়, খাসিটি দেখতে অনেকে ভিড় করেছেন। পাশেই দাঁড়িয়ে আছে খাসিটির মালিক। সে হাতপাখা দিয়ে খাসিটিকে বাতাস করছে। হাটে আসা অনেক ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা খাসিটিকে একনজর দেখতে ভিড় করছে। দর্শনার্থীরা এসে খাসিটির ছবি তুলছেন। অনেকে আবার এসে দাম জিজ্ঞাসা করছে। খাসিটির মালিক ওমর মিজানপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাগমারা এলাকার রফিক সরদারের ছেলে।
ওমর বলে, তিন বছর যাবত আমি খাসিটিকে লালনপালন করে বড় করেছি। শখ করে নাম রাখি ‘মিঠু’। মিঠু বলে ডাক দিলেই সে সাড়া দেয়। খাসিটিকে আমি ভাত, খড়, ভুসি ও ঘাস খাওয়াই। এটিকে বিক্রির জন্য আজ হাটে তুলেছি। আমার সঙ্গে চাচা ও চাচাতো ভাই এসেছেন। দাম চাচ্ছি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ৮০ হাজার টাকা দাম হয়েছে। ১ লাখ টাকা হলে বিক্রি করে দেব।
হাটে আসা দর্শনার্থী শিমুল মোস্তফা বলেন, আমার তখনও এত বড় খাসি দেখিনি। হাটে ঢুকতেই খাসিটি আমার নজর কাড়ে। আরেক দর্শনার্থী কাজল মোল্লা বলেন, বিশাল আকৃতির খাসিটি দেখতে ছোটখাটো একটি গরুর সমান। আমি খাসির একটা ছবি তুলেছি।
হাটে খাসি কিনতে আসা ক্রেতা মিরাজ শেখ বলেন, আমি কোরবানির জন্য একটি খাসি কিনতে হাটে এসেছি। হাটে বেশ কয়েকটি খাসি দেখলাম। তার মধ্যে মিঠু নামের খাশিটি সবচেয়ে বড়। হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি মো. জনি বলেন, রাজবাড়ী হাটে আজকে একটি বড় খাসি উঠেছে। খাসিটির ওজন ৯৫ কেজি হবে। বিক্রেতা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দাম চাচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলুল হক সরদার জানান, এ বছর রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন পশুর হাটে রোগাক্রান্ত পশু সনাক্ত ও চিকিৎসা সেবা প্রদানে জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর থেকে ভেটেনারি মেডিকেল টিম থাকবে। এ বছর রাজবাড়ী জেলায় সাড়ে আট হাজার খামারে ৫৪ হাজার ৫২৫টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।
সরকারি হিসাব মতে, এ বছর ১৪ হাজার ৯৮৫টি ষাঁড়, ৩৩ হাজার ১০টি ছাগল, ছয় হাজার ২০০টি গাভী, ৩০টি মহিষ, ৩০০টি ভেড়া কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।