ষ্টাফ রিপোর্টার: অতিরিক্ত মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রয়ের দায়ে বগুড়ায় ছয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে শহরের ফতেহ আলী ও রাজাবাজারে এই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আদালত পরিচালনা করেন বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. আফসানা ইয়াসমিন।
আদালত সূত্র জানায়, ঈদ মৌসুমে কাঁচা ও মসলার বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মূল্য পরিস্থিতি মনিটরিংয়ের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দেখা যায় আমদানিকারকদের কাছ থেকে ১৯০ টাকা কিনে ব্যবসায়ীরা পাইকারি পর্যায়ে আদা বিক্রি করছে ৩২০ টাকায়। সেই আদা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে ভোক্তারা ক্রয় করছেন ৪০০ টাকা দরে। দামের এমন আকাশ পাতাল দেখে মের্সাস আজমেরী এন্টারপ্রাইজ নামে এক আড়তদার প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন বিচারক।
এর আগে হিরু নামে এক পাইকারি ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই অপরাধে আরও দুই ব্যবসায়ীকে ২ হাজার করে মোট চার হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত।
এ ছাড়া ফতেহ আলী বাজারের সিদ্দিক স্টোর নামে এক মসলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই বাজারে খোলা পরিবেশে লাচ্ছা সেমাই বিক্রির জন্য আকবর স্টোর নামে আরেক দোকানে এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালতের বিচারক।
কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীরা এ সময় জানান, আমদানী না থাকায় পন্যের সরবরাহ খুবই কম। এ জন্য দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোক্তার কাছে থেকে দাম বেশি নেয়ার জন্য তারা খুচরা ব্যবসায়ীদের দায়ি করেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. আফসানা ইয়াসমিন বলেন, বাজারে পন্যের অতিরিক্ত দাম নেয়ার কারণ হিসেবে আড়তদার ও খুচরা ব্যবসায়ী দু পক্ষের সম্পৃক্ততা আছে। কাউকে একক ভাবে দোষ দেয়া যাবে না। আমরা জরিমানার পাশাপাশি তাদের সতর্ক করেছি। এ ধরনের বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে সহকারী কমিশনার শারমিন সুলতানা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত ছিলেন।