ষ্টাফ রিপোর্টার: বগুড়া শহরে ছাগল এবং ভেড়ার চামড়ার কোনো মূল্য নেই। পৌরসভার বাদুড়তলা এলাকায় প্রধান সড়কে পড়ে আছে ছাগল ভেড়ার চামড়ার স্তুপ। ভাগাড়ে ফেলার চিন্তা করছেন পৌর কর্তৃপক্ষ।
বিপাকে মাদ্রাসা ও এতিমখানার কতৃপক্ষ ও গরীব এলাকাবাসী। জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে পৌর এলাকায় বিক্রি করতে আসা ছাগলের এবং ভেড়ার চামড়ার কোনো মূল্য পাননি চামড়ার ফরিয়া ব্যবসায়ীরা। তাই তারা এ চামড়াগুলো পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কের মোড়ে ফেলে রেখে গেছেন।
ঈদুল আজহার পরের দিন পৌর এলাকার বাদুড়তলা রেল গেইটে গিয়ে দেখা যায় সেখানে পড়ে আছে ছাগল এবং ভেড়ার চামড়া। শুক্রবার সকালে ফেলে দেয়া চামড়াগুলো অপসারণ করে পৌর কর্তৃপক্ষ।
এ বছর গরুর চামড়ার দামও কম পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বড় আকারের গাভী বা বকনার চামড়া ২০০ থেকে ২৫০ টাকা এবং বড় আকারের ষাঁড়ের চামড়া ৮০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। কোরবানির চামড়ার টাকা থেকে বড় অংকের টাকা বিভিন্ন এতিমখানার কোষাগারে জমা হতো, এক্ষেত্রে এতিমখানার কোষাগারে অর্থ সংকট হবে বলে মনে করছেন এতিমখানার পরিচালকরা। চামড়া বিক্রির টাকার একটি অংশ গরীবদের মাঝে বন্টন করে দেয়া হতো। তা থেকে এখন বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার গরীব দুঃখী মানুষরা।
বগুড়া পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিম ডাবলু বলেন, সড়কে ছাগলের চামড়া পড়ে আছে সেটি আমি শুনেছি। শুক্রবার সকালে পড়ে থাকা চামড়গুলো অপসারণ করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।