আগামী মাসে বগুড়ার ৫ উপজেলা ভূমিহীন-গৃহহীন ঘোষণা করা হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার ৭ টি উপজেলাকে গৃহহীন মুক্ত ঘোষণার ধারাবাহিকতায় আগামী আগস্ট মাসে অন্য ৫ উপজেলাকে গৃহহীন ঘোষণা করা হচ্ছে। এই ৫ উপজেলা গৃহহীন ঘোষনা করা হলে বগুড়া জেলা হবে গৃহহীনমুক্ত জেলা।

জানা গেছে বগুড়ায় “ক” শ্রেণির ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা রয়েছে ৫ হাজার ৭২।এর মধ্যে মুজিববর্ষে ৪ হাজার ৮০৫ পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে জেলায় ‘ক’ তালিকাভুক্ত ১ হাজার ৪৫২ জনকে একক ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে একই বছরে জুন মাসে বিতরণ করা হয় ৮৫৭টি একক ঘর।

তৃতীয় পর্যায়ে ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল বিতরণ করা হয় ৯৩০টি একক ঘর। এরপর ২১ জুলাই ৩৫৪টি ঘর ভূমি ও গৃহহীনদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে ঘর নির্মাণ করে তা ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বুঝিয়ে দেয়া হয়।

বগুড়ায় সর্ব প্রথম নন্দীগ্রাম ও দুপচাঁচিয়া উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়। দুপচাঁচিয়া উপজেলাতে ‘ক’ তালিকাভুক্ত ভূমিহীন-গৃহহীন উপকারভোগীর সংখ্যা ছিল ৩২৯ জন। এর পর যে দুই উপজেলা গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করা হয় সে দুটি হলো ধুনট ও কাহালু উপজেলা।

এরপর পর্যায়ক্রমে সোনাতলা, শিবগঞ্জ, শাজাহানপুর উপজেলা উপজেলা শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়। এই নিয়ে জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ৭টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত করা হয়। বগুড়াতে ভূমিহীন-গৃহহীন প্রতি পরিবারকে দুই শতক জমিসহ একটি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট একক ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। বাঁকী রয়েছে বগুড়া সদর, আদমদিঘী, সারিয়াকান্দি, শেরপুর ও গাবতলী উপজেলা।

কাল বিকেলে বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদে বগুড়া সদর উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য যৌথসভা হবে। এই সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বগুড়া সদর ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হবে কিনা। এই মাসেই অন্য চার উপজেলা ভূমিহীন-গৃহহীন ঘোষণা করার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সভা করা হবে।

এই সভা গুলো থেকে ভূমিহীন-গৃহহীন ঘোষণার সুপারিশ যাবে জেরা প্রশাসকের দপ্তরে। তার পর আগামী আগস্ট মাসে বগুড়ার ৫ উপজেলা ভূমিহীন-গৃহহীন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজা পারভীন জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বগুড়ায় ৮৩৫ পরিবারকে বাড়ি হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দিকে ২৫০ টি, দ্বিতীয় দফায় ২২৩ টি, তৃতীয় দফায় ১০৪টি এবং চতুর্থ দফায় ২৫৩ টি ঘর হস্তান্তর করা হয়।

সব মিলিয়ে মুজিব বর্ষের ঘর ৮৩০টি, উপজেলঅ পরিষদ থেকে ৪ টি এবং এ্যাডমিন এসোসিয়েশন থেকে ১ টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, বগুড়া পৌরসভায় কিছু ভাসমান লোক রয়েছে, এরা স্থায়ী না, কখনো থাকে আবার কখনো থাকে না, একারণে তাদেরকে আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছেনা।

বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিলুফা ইয়াসমিন জানান, বগুড়ার ৭ টি উপজেলা ইতোমধ্যে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী মাসে বাঁকী ৫ উপজেলা ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হবে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১