সাইফুল ওই উপজেলার বিহার ইউনিয়নের মৃত ছায়ে আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৬০)।
র্যাব-১২ বগুড়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়। র্যাব জানায়, ২৬ বছর আগে ১৯৯৭ সালে এক চালককে হত্যার পর রিকশা চুরির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনা দায়ের হওয়া মামলায় দুই নম্বর আসামি ছিলেন সাইফুল। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন৷ পরে মামলার শুনানি শেষে ২০০২ সালে আদালত সাইফুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
র্যাব আরও জানায়, সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ঢাকা ও সিলেটে নিজের নাম পরিচয় বদলে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ঘটনা প্রবাহ পুরোন হয়ে যাওয়ায় সম্প্রতি তিনি শিবগঞ্জের বিহারে নিজ বাড়িতে ও আমতলীতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া আসা শুরু করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই সাইফুল দীর্ঘ ২৬ বছর পলাতক ছিলেন৷ তাকে গ্রেপ্তারের মধ্যে দিয়ে র্যাব আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।