বগুড়া নিউজ ২৪ঃ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করাই নির্বাচন কমিশনের বড় সার্থকতা। একটা বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হতে হবে। এটা সমন্বিতভাবে চাইতে হবে।
আজ শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রথম ধাপে মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধনী অুনষ্ঠানে এ কথা বলেন সিইসি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন আসন্ন, এর জন্য প্রস্তুতি প্রয়োজন। প্রস্তুতি ছাড়া নির্বাচন করা কঠিন। প্রস্তুতির একটি অংশ হচ্ছে যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেয়া।
সিইসি বলেন, জনগণ যেখানে সত্যিকার অর্থে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে, তা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারলে আমাদের সার্থকতা হবে। এর সঙ্গে আরেকটি বিষয় যুক্ত হয়েছে ক্রেডিবিলিটি। আমাদেরকে সমন্বিতভাবে চাইতে হবে এবং এটি বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কোনো সহজ কর্ম নয়। আমাদের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছায়নি। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যেখানে নির্বাচন নিয়ে হা-হুতাস করতে হয় না। বিশেষ করে ইউরোপের অনেকগুলো দেশ, যেখানে নির্বাচনগুলো খুব শান্তিপূর্ণভাবে হয়ে যায়। ওরা গণতন্ত্রের একটা বিশেষ অবস্থানে গিয়ে স্থির হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। কাজেই প্রস্তুতি প্রয়োজন। যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন, তাদের প্রশিক্ষণে উপযুক্ত করা হবে। ৯ লাখের মতো নির্বাচনী কর্মকর্তা নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্ব উপলব্ধি করতে হবে। রিটার্নিং অফিসারের যে দায়িত্ব ও ক্ষমতা, তা বর্ধিত এবং দায়িত্বপূর্ণ করা হয়েছে।