স্টাফ রিপোর্টার: গত বুধবার সরকারি কাজে বাধা দান এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের হুমকি দেওয়ায় বগুড়া সদরের লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের রহমতবালা গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা থেকে রেজাউল ইসলাম, তার ছেলে রিপু ও রেজাউলের ভাই শহিদুল ইসলামকে আটক করে হাতকড়া পরিয়ে সহকারি কমিশনার (ভুমি) এর কার্যালয়ে নিয়ে আসার ঘটনার ব্রিফিং করেছেন বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজা পারভীন।
গতকাল শনিবার বিকেলে বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ইউএনও বলেন, বুধবার সকালে ওই আশ্রয়ন প্রকল্পের ১৫ থেকে ২০ জন বাসিন্দারা তার কাছে এসে অভিযোগ করেন যে, ওই এলাকার রেজাউল ইসলামসহ তার লোকজন তাদেরকে আশ্রয়ন প্রকল্প ছেড়ে যাওয়্রা জন্য চাপ দিচ্ছেন। তারা নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।
এ পেক্ষিতে তিনি ওই এলাকায় যান। আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন। তিনি আরও বলেন বগুড়া সদর উপজেলার লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের রহমতবালা গ্রামে সরকারি খাস জমিতে ৫৬টি পরিবার বসবাস করছেন। আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরত পরিবারগুলোকে একটি মহল নানা প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের দখলকৃত বাড়ি থেকে বেড় হয়ে যেতে বলেন।
এমনকি তাদেরকে মারপিট করারও হুমকি দেন৷ তিনি এবং সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি), প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মনির ও নিরাপত্তা কর্মিসহ নিয়ে সেখানে যান। সেখানে সরকারি কাজে বাধা দিলে ৩ জনকে আটক করা হয়। পরে সদর ভূমি অফিসে গিয়ে তাদের দাবিকৃত জমির বিষয়য়াদি খোঁজ খবর নিয়ে মানবিক বিষয়টি মাথায় নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
পরে এ ঘটনাগুলি নিয়ে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম সংবাদ পরিবেশন করেছে, যা সত্য নয়৷ এই সংবাদে তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে এবং উপজেলা প্রশাসনের সম্মান ক্ষুন্ন করা হয়েছে। অভিযুক্তরা নিজেদের জমি দাবি করে হাই কোর্টের স্থিতিবস্থা সম্পর্কে বলেন, হাইকোর্টের স্থিতিবস্থা ছিলো সেটা তারা উপজেলা পরিষদেকে আগে অবহিত করেনি।
তিনি আরও বলেন যাদেরকে নিয়ে আসা হয়েছিলো তাদের আইনজীবী হাইকোর্টের স্থিতিবস্থার কাগজপত্র দেখালে মানবিক কারণে মুচলেকা লিখে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি অন্য খাতে নেওয়ার কোন সুযোগ নাই।