বগুড়ায় আইএইচটির সেই সজল ঘোষ গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার : ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) বগুড়ার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ১৫ দিনের মাথায় অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে আলোচিত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সজল কুমার ঘোষ (৩৩)।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোরে বগুড়া সদর থানা পুলিশের একটি টিম বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ছনকা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

এ ব্যাপারে বগুড়া সদর থানার ওসি মো.সাইহান ওলিউল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ছনকা বাজারে সজল ঘোষ আত্মগোপন করে আছে, গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আইএইচ আইটির শিক্ষার্থীদের মারপিট, চাঁদাবাজি, প্রতারণার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত সজল ঘোষ শহরের রহমান নগরের সোমেন কুমার ঘোষ এর ছেলে। আজ বেলা ১২টার দিকে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরো বলেন, তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে মামলার তদন্তের প্রয়োজনে তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

কে এই সজল ঘোষ? সজল ঘোষ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সজল ঘোষ  এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বগুড়া এইচটির ছাত্রাবাসের একটি রুম দখল করে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপ করে আসছিল। সে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি, তাদেরকে দিয়ে পা টিপে নেওয়া, শরীর মালিশ করে নেওয়া, বহিরাগতদের নিয়ে এসে মাদক সেবন, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় পাশ করে দেওয়ার কথা বলে টাকা নেয়া, তাদেরকে মারপিটসহ নির্যাতনসহ নানা অভিযোগ করে আসছিল শিক্ষার্থীরা। সেইসাথে গত ২৯ আগস্ট শিক্ষার্থী ও হোস্টেলের মিল ম্যানেজার আমিনুল ইসলামকে মারধরও করে সজল শেখ। কিন্তু  কর্তৃপক্ষ ছিল নিরব। অভিযোগ রয়েছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সহযোগিতায় সজল শেখ দীর্ঘ ১২ বছর ধরে অত্যন্ত দাপটের সাথে তার কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল। দীর্ঘদিনের ক্ষোভ আর  এই মারধরকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করে। সেই সাথে কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। যা আন্দোলনে পরিণত হয়।  এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের অপসরণসহ নানা দাবি জানিয়ে লাগাতার আন্দোলন  চালিয়ে আসছিল। এই আন্দোলন চলার একপর্যায়ে শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হাসান সজল ঘোষ এর বিরুদ্ধে সদর থানায় ওই মামলা দায়ের করেন। সেই সাথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও সজল ঘোষকে গ্রেফতারের জন্য আলটিমেটাম দেয়। সর্বশেষ সজল ঘোষকে গ্রেফতারের জন্য২৪ ঘন্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সজল ঘোষ কে গ্রেফতার করছে সক্ষম হয়।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০