তিন দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিএনপির ৫ নেতার বৈঠক

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। নির্বাচনকালীন সরকারের একদফা দাবির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ বিদেশি শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিএনপির শীর্ষ ৫ নেতা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

জানা গেছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মো. আব্দুল মঈন খানের সঙ্গে তার বাসায় বৈঠক করেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনের রাজনৈতিক কাউন্সিলর মি. টিমোথি ডকেট।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) মঈন খানের গুলশানের বাসভবনে দুপুর পৌনে ২টায় শুরু হয়ে প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের ব্যাপারে কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমকে কোনো তথ্য জানায়নি।

একই দিন দুপুরে গুলশানে আমেরিকান ক্লাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দুপুর পৌনে ১টা থেকে দুপুর সোয়া দুইটা পর্যন্ত চলে এ বৈঠক। গুলশানে আমেরিকান ক্লাবে এই বৈঠক হয় বলে বিএনপির একটি সূত্র জানায়। বৈঠকটি দুপুর পৌনে ১টা থেকে দুপুর সোয়া দুইটা পর্যন্ত চলে।

বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের ডেপুটি কাউন্সিলর অর্টরু হাইনেস। তবে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে দলের আর কেউ ছিলেন না বলে জানা গেছে। বৈঠকে কী কথা হয়েছে, অবশ্য গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেনি কোনো পক্ষই।

এ বিষয়ে যদিও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগী গণমাধ্যমকে কিছু জানাননি।

এদিকে বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলির বাসভবনে মধ্যাহ্নভোজ করেছেন বিএনপির তিন শীর্ষ নেতা। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রদূতের বারিধারাস্থ বাসভবনে শীর্ষ নেতাদের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। মধ্যাহ্নভোজে উপস্থিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য শামা উবায়েদ এবং তাবিথ আউয়াল।

সেখানে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও দ্বিপাক্ষিক বিষয় আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।

নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের ওপর বেশ কড়া নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২২ সেপ্টেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছিলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই তালিকায় রয়েছেন- আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্য। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ