গাজায় পাঠানো ত্রাণ ‘মহাসমুদ্রে এক ফোঁটা পানি’ : জাতিসংঘ

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য মাত্র ২০ ট্রাক ত্রাণসহায়তাকে ‘মহাসাগরে এক ফোঁটা পানির’ সঙ্গে তুলনা করেছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা।

শনিবার (২১ অক্টোবর) মিসরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় পৌঁছেছে ত্রাণবাহী ২০টি ট্রাক। এতে খাবারের পাশাপাশি মাত্র ৪৪ হাজার বোতল সুপেয় পানি ও ওষুধ রয়েছে। খবর বিবিসির।

পশ্চিম তীরের বাসিন্দারা বলছেন, এসব ত্রাণসহায়তা নিছক লোকদেখানো। এসব ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য।

এদিকে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করা ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে কোনো জ্বালানি নেই। আর এটিই এখন উদ্বেগের মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা, পানি সরবরাহ করতে পাম্প চালানো প্রয়োজন। আর পাম্প চালাতে জ্বালানির বিকল্প নেই। জ্বালানিসংকটের কারণে গত রোববার গাজায় সর্বশেষ চালু থাকা পানি শোধনাগার কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেছে।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, তারা মাত্র ৪৪ হাজার বোতল সুপেয় পানি পাঠাতে পেরেছে। এই পানি দিয়ে এক দিন ২২ হাজার মানুষ চলতে পারবে। অথচ গাজার জনসংখ্যা ২৩ লাখ।

ইউনিসেফ জানায়, গাজার ১০ লাখ শিশু এখন একটি গুরুতর সুরক্ষা এবং মানবিক সংকটের মুখোমুখি। পানি এখানে জীবন–মৃত্যুর বিষয়। প্রতিটি মিনিট ভয়াবহ অবস্থার মধ্য দিয়ে কাটছে। প্রথম দফায় সীমিত পরিমাণে পাঠানো পানি হয়তো জীবন বাঁচাবে। তবে শুধু পানি নয়; খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ এবং অত্যাবশ্যক পণ্য ও পরিষেবাগুলো তাৎক্ষণিক এবং ব্যাপকভাবে প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় অনবরত হামলা করে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে প্রতিনিয়ত হামলা জোরদার করছে তারা। ইসরায়েলের হামলায় ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। যুদ্ধবিদ্ধস্ত গাজায় দেখা দিয়েছে মানবিক সংকট।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ