বগুড়ায় আলিফ জেনারেল হসপিটালে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া তেঁতুলতলা এলাকায় আলিফ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় জনতা ক্লিনিকটি অবরুদ্ধ করে রাখে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বগুড়ার গাবতলী উপজেরার ঘোন সাঘাটিয়া এলাকার রুহুল আমিনের স্ত্রী থাইরয়েড রোগী আয়েশা বেগম (৩৫) গতকাল রোববার দুপুরে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির পর নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা: এম.এ. ওয়াহেদ রোগীকে দেখেন এবং তার অপারেশর করতে হবে বলে পরামর্শ দেন।

পরামর্শ অনুযায়ী ওইদিনই রাত ৮ টার দিকে ওই চিকিৎসক তার গলায় অপারেশন করেন। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তার অপারেশন সম্পন্ন হয়। এরপর তাকে বেডে নিয়ে আসা হয় এবং কোন কিছু খেতে নিষেধ করা হয়।

কিন্তু পরদিন আজ সোমবার (২৩ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে রোগীর স্বজনরা তাকে পানি পান করালে তার শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। এক পর্যায়ে এ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে রোগীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার আগেই রোগী আয়েশার মৃত্যু হয়।

কিন্তু এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন এবং চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবেহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। এরপর তারা ক্লিনিকটি অবরুদ্ধ করে রেখে প্রতিবাদ জানায়। বেলা ১১ টা পর্যন্ত এলাকাবাসী এই প্রতিবাদ জানান।

পরে পুলিশ এলে পরস্থিতি শান্ত হয়। এ ব্যাপারে চিকিৎসক এ. এ, ওয়াহেদ বলেন- চিকিৎসকের অবহেলায় ওই রোগীর মৃত্যুর যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা সঠিক নয়। অপারেশনের পর রোগীকে কিছু খেতে না দিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু রোগীর লোকজন রোগীকে পানি পান করানোর কারণে এসপিরেশন হয়। এতে শ্বাসকষ্ট বাড়লে রোগী মারা যায়।

এ বিষয়ে আলিফ জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে রাব্বী বলেন, আয়েশার মৃত্যুর ব্যাপারে তার আত্মীয়-স্বজনের কোন অভিযোগ নেই। তারপরও কিছু লোক তাদের হাসপাতালে এসে হাঙ্গামা করে।

পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়া হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি দাবি করেন, চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়।

এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মো: সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ওই হাসপাতালে হাঙ্গামার বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে রোগী আয়েশার মৃত্যুর ব্যাপারে তার আত্মীয় স্বজন থানায় কোন অভিযোগ করেননি। যে কারণে লাশের ময়না তদন্ত করা হয়নি। লাশটি তার স্বজনরা নিয়ে গেছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ