বগুড়া নিউজ ২৪: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উপকণ্ঠে হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে সোমবার তীব্র লড়াই হয়েছে অনুপ্রবেশকারী ইসরায়েলি বাহিনীর। তবে প্রবল প্রতিরোধের মুখে ইহুদিবাদী সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়ার মুসলিমপ্রধান দাগেস্তান অঞ্চলের একটি বিমানবন্দরে ইসরায়েল থেকে আসা একটি উড়োজাহাজ অবতরণের পর কয়েকশ উত্তেজিত জনতা সেখানে হামলা চালিয়েছে। তারা ইহুদিদের খুঁজে খুঁজে বের করার চেষ্টা করে।
এদিকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৮ হাজার ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে। ফিলিস্তিনি একাধিক সূত্র আলজাজিরাকে বলেছে, ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো গাজার সীমান্ত বেষ্টনী থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে গাজা শহরের মধ্যবর্তী সালাহ আল-দিন সড়কের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হয়েছে। পরে ওই এলাকায় হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের তীব্র লড়াই হয়।
গাজায় হামাসের সরকারি অফিসের প্রধান কর্মকর্তা সালমা মারুফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, গাজা উপত্যকার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর কোনো স্থল অভিযান নেই। সালাহ আল-দিন সড়কে শুধু দখলদার সেনাবাহিনীর কয়েকটি ট্যাঙ্ক এবং একটি বুলডোজারের অনুপ্রবেশ ঘটেছিল। পরে হামাসের যোদ্ধাদের প্রতিরোধে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে ইসরায়েলি সব যানবাহন।
গত রোববার ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে ৬০০ স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এদিকে গাজা যুদ্ধ আরো সম্প্রসারিত হলে ইসরায়েল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ইরান। দেশটির রাজনীতি বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাঘেরি-কানি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ যদি আরও প্রসারিত হয়, তবে তা ইসরায়েলকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে।
সোমবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন আলী বাঘেরি-কানি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ঢুকে বড় ধরনের অভিযান চালায় হামাস যোদ্ধারা। আল-আকসা তুফান নামক ওই অভিযানে বহু এক হাজার ইসরায়েলিকে হত্যা করা হয় এবং প্রায় আড়াইশ’র মতো ইসরায়েলি অবৈধ বসতি স্থাপনকারীকে ধরে গাজায় নিয়ে যান ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা।