বগুড়া নিউজ ২৪: চীনের সীমান্তবর্তী এলাকায় জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের একযোগে চালানো হামলায় মিয়ানমারের ভৌগোলিক অখণ্ডতা সম্পূর্ণ ঝুঁকির মুখে পড়ে গেছে। প্রথমবারের মতো এই কথা স্বীকার করলেন সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত মিন্ট সোয়ে। তিনটি শক্তিশালী জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর নতুন জোটের- দ্য থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স- যোদ্ধারা গত ২৬ অক্টোবর চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের পূর্ব সীমান্ত বরাবর উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে একযোগে হামলা চালিয়ে শতাধিক সেনা চৌকি দখল করে নেয়। অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম নিজেদের আয়ত্বে নিয়ে নেয়। সামরিক বাহিনী ওই এলাকায় বোমা হামলা চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে জবাব দেয়ার চেষ্টা করে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে জেনারেলদের জন্য এই আক্রমণটি সবচেয়ে গুরুতর আঘাত ছিল। কুনলং, মনিক্যাট, নানবেং (লাশিও-টাংইয়ান রোড) এবং মোনেকোতে জান্তার ঘাঁটিগুলোই শুধুমাত্র আক্রমণ প্রতিহত করতে পেরেছে। ওই অঞ্চলে বেশিরভাগ ঘাঁটি থেকে এতো দ্রুত সেনারা পর্যদস্ত হয়েছে যে শাসকদল তা আগে কল্পনাও করতে পারেনি। সেনা বাহিনী কমপক্ষে ছয়টি ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া যান হারিয়েছে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী স্বীকার করেছে চিন শোয়ে হাও, পানসাই এবং ফাউং সাই এই তিনটি শহরের নিয়ন্ত্রণ আর তাদের হাতে নেই। জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর জোট নামতু নদীর উত্তরে হেসেনভি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, তবে জান্তা সেনারা নদীর দক্ষিণে একটি প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান ধরে রেখেছে।