বগুড়া নিউজ ২৪: চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে গৃহযুদ্ধের মধ্যে চিন সীমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা মিয়ানমার সেনাদের হাতছাড়া হয়েছে বলে জানাচ্ছে মিয়ানমার ভিত্তিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমগুলো। তিনটি স্বাধীনতাকামী সংগঠনের জোট বলছে মিয়ানমার-চিন সংযোগরক্ষাকারী সড়কও এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। খবর আল-জাজিরা
‘ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ) নামে মিয়ানমারের তিনটি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠনের জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামে একটি জোট সামরিক বাহিনী পরিচালিত সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সেনা-বিদ্রোহের সংঘর্ষের কারণে আতঙ্কিত হয়ে অন্তত ৯০ হাজার মানুষ ঘর ছেড়েছেন।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মায়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী আং সান সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’র নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাতের পর মায়ানমার সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকার এই প্রথম এত বড় সঙ্কটের মুখোমুখি হলো বলে মনে করা হচ্ছে।
মায়ানমারের ‘স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল’ (এসএসি)-এর প্রেসিডেন্ট মিয়ন্ত শোয়ে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয় হলে মায়ানমার টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।
চিন-মায়ানমার সীমান্তবর্তী চিনশয়েহাউ শহরের দখল নিয়েছে বিদ্রোহী জোটটি। সেখানে কয়েকটি চিনা বাণিজ্যিক সংস্থার দফতরেও তারা হামলা চালিয়েছে। পরিস্থিতি দেখে উদ্বিগ্ন বেজিং বৃহস্পতিবার বিদ্রোহী বাহিনীর কাছে যুদ্ধবিরতির আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু তাতে সাড়া মেলেনি। এছাড়াও মায়ানমারের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর–পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলায় শুক্রবারও বহু এলাকা দখল করেছে নিয়েছে বলে জানাচ্ছে জোটটি।