বগুড়া নিউজ ২৪: আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইনিংসের শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ২৪ রানেই ৪ উইকেট খুইয়ে বসে প্রোটিয়ারা। তবে একাই লড়াই করে খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলেন ডেবিট মিলার। তার অনবদ্য সেঞ্চুরিতে শেষ পর্যন্ত ২১২ রানের পুঁজি পেয়েছে প্রোটিয়ারা। ফাইনালে উঠতে অজিদের দরকার ২১৩ রান।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২১২ রান তুলে প্রোটিয়ারা। দলের হয়ে মিলার সর্বোচ্চ ১০১ রান করেন। এ ছাড়া ক্লাসেনের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৭ রান। অজিদের হয়ে প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্কের শিকার তিনটি করে উইকেট।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বড়সড় ধাক্কা খায় প্রোটিয়ারা। প্রথম ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওপেনার এবং অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ৪ বলে ০ রানে আউট দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। স্টার্কের করা ওভারের ষষ্ঠ বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে অ্যাঙ্গেল করে বেরিয়ে যাচ্ছিল। সে বলে খোঁচা দিয়েছেন ফর্মহীনতায় ভোগা বাভুমা। এতে প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পায় অস্ট্রেলিয়া।
ফর্মে থাকা আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি ককও ফেরেন অল্প রানে। টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ফেরেন ১৪ বলে ৩ রান করেই।
শুরুতেই দুই ওপেনারের বিদায়ের পর রাসি ফন ডার ডুসেন ও এইডেন মার্করাম চেষ্টা করেন দলকে টেনে তোলার। তবে অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের বোলিং তোপের মুখে ব্যর্থ হয়েছেন তারাও। ডুসেন ৩১ বলে করেন মাত্র ৬ রান। আর মার্করাম ২০ বলে করেন ১০ রান। প্রথম ৪ উইকেট সমানভাবে ভাগাভাগি করেন স্টার্ক ও হ্যাজলউড।
১৪ ওভারের খেলা শেষে ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি। এতে বন্ধ থাকে খেলা। বৃষ্টি বাগড়া শেষে দলের হাল ধরেন হেনরিখ ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলার। ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দেন দুজনে। এরপর থিতু হন ক্রিজে। তাদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় কাটায় দক্ষিণ আফ্রিকা
পঞ্চম উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেন ৯৫ রান। তবে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসে ব্রেকথ্রু এনে দেন পার্ট-টাইম বোলার ট্রাভিস হেড। ওভার দ্য উইকেটে হেডের ফুললেংথের বলটি রক্ষণাত্মক ধাঁচে খেলতে চেয়েছিলেন ক্লাসেন। এতে ফাঁদে পড়েন এই মিডল-অর্ডার ব্যাটার। বড় শট খেলার পরিকল্পনা সটকে দিয়ে বিপদ ডেকে এনে বোল্ড হয়ে যান তিনি।
ঠিক পরের বলেই আবারও উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। এলবিডব্লু মার্কো ইয়ানসেন! পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে উল্টো মিস করেন তরুণ এই অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত রিভিউ নিলেও তাতে খুব একটা লাভ হয়নি।