ভোটের দিন পেছানোর আহ্বান জাতীয় পার্টির

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার স্বার্থে ভোটের দিন পেছানোর আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা।

রোববার (১৯ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে এ আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে, দুপুর ১২টার দিকে রওশর বঙ্গভবনে যান, সেখানে তিনি ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান করেন। এ সময় তার সঙ্গে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা, রাহগির আল মাহী এরশাদ সাদ, রওশন আরা মান্নান ও বিরোধী দলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।

মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, বিরোধী দল হিসেবে নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করবে। সেই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ আয়োজনে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানান তিনি।

এদিকে, কার স্বাক্ষরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে, লাঙ্গল প্রতীকের মালিক কে হবেন এবং জাপা মহাজোটের অংশ হয়ে নির্বাচন করবে কিনা- এ নিয়ে শনিবার (১৮ নভেম্বর) দিনভর চলে নানা নাটকীয়তা।

শনিবার জি এম কাদেরের পক্ষে দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু স্বাক্ষরিত চিঠি নির্বাচন কমিশনে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) অনুযায়ী জাতীয় পার্টির ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে দলের প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দ করবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। চিঠিতে জি এম কাদের তার চারটি নমুনা স্বাক্ষর প্রদান করেন।

অন্যদিকে, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে অংশ নেবে উল্লেখ করে ইসিকে আরেকটি চিঠি দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। চিঠিতে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরীক দল হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এটা হবে শুধু নির্বাচনী জোট। নির্বাচনকালীন জাতীয় পার্টির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবেন।

এতে রওশন এরশাদ আরও বলেন, এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা লাঙ্গল কিংবা প্রার্থীর ইচ্ছানুসারে মহাজোটে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে পারবেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

উল্লেখ্য, বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। এতে বলা হয়, ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ