বগুড়ায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

একতরফা তফসিল বাতিল এবং নির্দলীয় তদারকী সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে – বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপি বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশহিসাবে বগুড়া জেলা শাখার উদ্যোগে আজ: ২৫ নভেম্বর’২৩ বিকাল: ৪:০০ টায় বগুড়া প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেণ বাম গণতান্ত্রিক জোট বগুড়া জেলা সমন্বয়ক, সিপিবি বগুড়া জেলা সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড জিন্নাতুল ইসলাম জিন্নাহ, বক্তব্য রাখেন বাসদ বগুড়া জেলা আহŸায়ক কমরেড সাইফুল ইসলাম পল্টু, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক অমিনুল ফরিদ, বাসদ জেলা সদস্য সচিব অ্যাড. দিলরুবা নূরী, সিপিবি নেতা সন্তোষ পাল, বাসদ নেতা সাইফুজ্জামান টুটুল প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

কমরেড জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না বলেন- সরকারের দু:শাসনে আজ দেশে চুরি, দুর্নীতি, লুন্ঠন, অর্থপাচার, চাঁদাবাজি, দখল-জবরদখল, দলীয়করণ- দলবাজি, স্বেচ্ছাচারিতা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। সন্ত্রাস, অপহরণ, হত্যা, খুন, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, সামাজিক অনাচারের রোমহর্ষক ঘটনাবলি বেড়েই চলছে। সরকার, প্রশাসন ও লুটেরা ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেটসমূহ এখন প্রায় একাকার। বাজারের উপরের সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন না থাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। দেশের জনগণ একতরফা এই প্রহসনের তফসিলের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত জনগণের রায়কে আমলে নিয়ে ঘোষিত অগণতান্ত্রিক তফসিল বাতিল করা এবং সরকারের উচিত অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের লক্ষ্যে তদারকি সরকারের রূপরেখা নিয়ে আন্দোলনরত সবদলের সাথে আলোচনা শুরু করার দাবি জানান।
কমরেড সাইফুল ইসলাম পল্টু বলেন: ‘গণতন্ত্রহীনতা ও অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশে বিদেশি শক্তি ও দেশের অভ্যন্তরের অন্ধকারের শক্তিও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আজ অসৎ রাজনীতিবিদ, সামরিক বেসামরিক আমলা, অসৎ ব্যবসায়ী এবং টাকা পাচারকারী, ঋণখেলাপি, ব্যাংক ডাকাত ও বাজার সিন্ডিকেটের দখলে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে মানুষ যখন উদগ্রীব হয়ে রাস্তায় নামছে তখন পুলিশ দিয়ে মানুষ খুন করে, গায়েবি মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে দমন পীড়নের পথে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চাইছে সরকার তাই তিনি দমন পীড়ন নির্যাতনের পথ পরিহার ও ক্ষমতা আকড়ে থাকার একগুয়েমী পরিত্যাগ করার আহ্বান জানান। একই সাথে দেশের জনগণ একতরফা এই প্রহসনের তফসিলের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত জনগণের রায়কে আমলে নিয়ে ঘোষিত অগণতান্ত্রিক তফসিল বাতিল করা এবং সরকারের উচিত অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।

সমাবেশে অন্যন্য নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচন কমিশনের উচিত জনগণের রায়কে আমলে নিয়ে ঘোষিত অগণতান্ত্রিক তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তদারকি সরকারে অধীন নির্বাচন এবং নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার, সংখ্যানুপতিক নির্বাচন চালু করার দাবি জানান।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ