বগুড়া নিউজ ২৪: গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, মানুষ ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগ সরকারের অস্তিত্ব থাকবে না। তাই সরকার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে। বর্তমান সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তা দেশের জনগণ ও বিশ্বসম্প্রদায় প্রত্যাখ্যান করেছে। এরপরেও ভোট করলে নির্বাচন সরকারকে নির্বাসনে পাঠাবে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। সরকার পতনের দাবিতে বিরোধী দলগুলোর সপ্তম দফা অবরোধ কর্মসূচির পক্ষে রোববার বিক্ষোভ–মিছিল শেষে সমাবেশ করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন নির্বাচনই নয়। যেটা নির্বাচনই নয়, সেটা ঠেকাব কী? জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে নির্বাচন। বিশ্ব প্রত্যাখ্যান করেছে এই নির্বাচন। আসিতেছে শুভ দিন, দিনগুলো গুনতে থাকেন। দেখেন কী হয়। এই নির্বাচন সরকারের জন্য, আওয়ামী লীগের জন্য কোনো নির্বাচন নয়। এটা ওদের নির্বাসনে পাঠাবে, অপেক্ষা করেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, দেশব্যাপী সমগ্র আন্দোলন নতুনভাবে পুনর্গঠন হচ্ছে। আওয়ামী লীগ বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে। বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দিলে আওয়ামী লীগের পরিণত হবে ১৯৫৪ সালে মুসলিম লীগের মতো।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার ঠিকমতো ‘কিংস পার্টি’ বানাতে পারছে না। ১/১১-এর সরকার বিভিন্ন দল থেকে লোক ভাগিয়ে ‘কিংস পার্টি’ বানিয়েছিল। এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে এই দল থেকে, ওই দল থেকে লোক ভাগিয়ে নেতা বানাচ্ছে। কিন্তু এটাও ঠিকমতো পারছে না।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, দেশের মানুষ ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগ সরকারের অস্তিত্ব থাকবে না। এই কথা তারা জানেন বলে নির্বাচনের নামেন, ভোটের নামেন প্রহসনের ব্যবস্থাকে তারা জারি রাখতে চান। এখান থেকে মুক্তি পেতে হলে, দেশকে বাঁচাতে হলে এই সরকারের পাতানো নির্বাচনের নাটক প্রতিহত করতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ।