মাইনাস ৫৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় জমে যাচ্ছে সাইবেরিয়া

বগুড়া নিউজ ২৪: গত সেপ্টেম্বর থেকে থেকেই শীত পড়া শুরু হয়েছে রাশিয়ায়, বর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই দেশটির অধিকাংশ স্থানের তাপমাত্রা শূন্যের নিচে, অর্থাৎ মাইনাস কয়েক ডিগ্রিতে নেমে গেছে।

তবে শীত সবচেয়ে জাঁকিয়ে পড়েছে দেশটির বৃহত্তম ভৌগলিক অঞ্চল সাইবেরিয়া। ১ কোটি ৩১ লাখ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই অঞ্চলটির বিভিন্ন শহর ও গ্রামে গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা মাইনাস ৫৫ ডিগ্রি বা তার আশপাশে ওঠানামা করছে।

তবে গতকাল সাইবেরিয়ার ইয়াকুৎস শহরের তাপমাত্রা মাইনাস ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

রাজধানী মস্কো থেকে ৫ হাজার কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত ইয়াকুৎস বিশ্বের শীতলতম শহরগুলোর মধ্যে একটি। প্রায় সারা বছরই শহরটির তাপমাত্রা শূন্য বা তার আশেপাশে থাকে। তবে শীতে সরাসরি উত্তর মেরু শীতল বাতাস বইতে শুরু করে শহরটির ওপর দিয়ে। নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে রাশিয়া এবং রাশিয়ার বাইরে থেকে অনেকেই শহরটিতে আসেন শীত কাটানোর জন্য।

মস্কো থেকে আসা ডানিলা তেমনই একজন পর্যটক। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমি মূলত ইয়াকুৎসে এসেছি এখানকার শীত দেখার জন্য এবং আমি সৌভাগ্যবান— যে কারণে এসেছিলাম, তা সার্থক হয়েছে।’

ডানিলা যখন কথা বলছিলেন, তার দাড়ি, টুপি এবং গলার স্কার্ফ বরফে ঢেকে গিয়েছিল।

‘আসলে আমি শীত অনুভব করছি না, কারণ হোটেল থেকে পুরো প্রস্তুত হয়ে বের হয়েছি। যদি তা না করতাম, বাইরে বের হওয়ার এক মিনিটের মধ্যে ঠান্ডায় জমে যেতাম।’

তিনি জানান, তীব্র ঠান্ডার কারনে তার মোবাইলে চার্জ থাকছে না; হাতে দুই জোড়া গ্লাভস এবং কয়েক স্তরের কাপড় পরতে হয়েছে।

সাইবেরিয়া অঞ্চলের বৃহত্তম প্রদেশ সাখা রিপাবলিক, যেটির আয়তন ভারতের চেয়ে খানিকটা কম। এমনিতে গত বেশ কিছুদিন ধরে রাতের বেলা সাখা রিপাবলিকে মাইনাস ৫৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকলেও গতকাল প্রদেশটির ওয়মায়াকোন শহরে তাপমাত্রা মাইনাস ৫৮ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছিল।

ইয়াকুৎসের বাজার এলাকায় বিক্রি হচ্ছে বরফে জমে যাওয়া মাছ। সেই মাছ কিনতে শহরের অন্যান্য বাসিন্দাদের সঙ্গে এসেছেন পিওতর, যিনি গত বশে কয়েক বছর ধরে ইয়াকুৎসে থাকছেন।

‘এখন খুব ঠান্ডা, তবে আপনার গায়ে যদি প্রয়োজনীয় শীতের কাপড় থাকে— তাহলে কোনো সমস্যা নেই; আর একটি ব্যাপার হলো— বাইরে বেরিয়ে বেশি সময় এক জায়দায় ঠায় দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা যাবে না; কারণ সেক্ষেত্রে দেহে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সবসময় চলাচলের মধ্যে থাকতে হবে,’ রয়টার্সকে বলেন পিওতর।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ