বগুড়া নিউজ ২৪: প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকায় বিক্রি করতে সম্মত হয়েছে মাংস ব্যবসায়ীরা। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে এই দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে মাংস ব্যবসায়ী সমিতি।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন ও মাংস ব্যবসায়ী সমিতির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সমিতির নেতারা বলেন, এখন থেকে প্রতি মাসে কেনাকাটা ওপর নির্ভর করে মাংসের দাম ওঠানামা করবে।
খাদ্যপণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে, গরুর মাংসের দামও এক পর্যায়ে চলে যায় সাধারণের নাগালের বাইরে। কেজিপ্রতি দাম ছাড়িয়ে যায় ৮০০ টাকার ওপরে।
দাম বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এক পর্যায়ে গরুর মাংসের চাহিদাও কমে আসে। ফলে গত নভেম্বরের শেষের দিকে কমতে শুরু করে দাম। বাজার ভেদে দাম কমে দাঁড়ায় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।
এর মধ্যে গত রোববার মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, উৎপাদন খরচ বিবেচনায় গরুর মাংসের দাম ৫০০ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়।
মহাপরিচালক বলেন, বর্তমানে রাজধানীর বেশিরভাগ বাজারে ৬০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হলেও, তা একশ’ টাকা কমানো সম্ভব। যৌক্তিক দর নির্ধারণে ডেইরি ফার্মারর্স অ্যাসোসিয়েশন ও মাংস ব্যবসায়ী সমিতিকে তাগিদও দেন তিনি।
বাজার নিয়ন্ত্রণে যথাযথ উদ্যোগের তাগিদ দিয়ে ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক জানান, ব্যবসায়ীদের সদিচ্ছা থাকলে দাম কমানো সম্ভব।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন পকেটে পকেটে এখানে সামহাউ বাজারটাকে অস্থির করে দিচ্ছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এবং গত জুলাইয়ে আমরা যখন মিটিং করেছি তখন কোনো অবস্থাতেই ৬০০ টাকার বেশি গরুর মাংসের দাম হওয়া উচিত ছিল না। আমরা যদি এই প্রতিকারগুলো নেই তাহলে বাংলাদেশে বসেই গরুর মাংসের দাম ৫০০ টাকা রাখা সম্ভব।