স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়া শহরের অনতিদূর ‘কৈচর বধ্যভূমিতে’ মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ২৬জন মুক্তিযোদ্ধার গণকবরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বগুড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সদরের ফাঁপোর ইউনিয়নের ‘কৈচর বধ্যভূমিতে’ শায়িত শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এর আগে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার মোছা. ফিরোজা পারভীনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বগুড়ার পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ শফিউল আজম, সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন (বাবলু), সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম, বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও আবু সুফিয়ান সফিক, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু, ফাঁপোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান।
বগুড়া সদর উপজেলার ১ নম্বর ফাঁপোর ইউনিয়নের ‘কৈচড় বধ্যভূমি’তে যে ২৬ জন শহীদ শায়িত আছেন তারা হলেন চেলোপাড়ার কালিপদ সিংহ, কর্ণ প্রসাদ সিংহ, গজেন্দ্রনাথ সিংহ, শ্যামল চন্দ্র সিংহ, শ্রীবাস দাম, গোলক চন্দ্র দাম, ননী চন্দ্র দাম, নিতাই চন্দ্র দাম, পল্লাদ চন্দ্র দাম, সুধাংশু চন্দ্র দাম ও সুধীর চন্দ্র দাম, ধোপাপাড়ার গুপি চন্দ্র দাম, গোবিন্দ মহন্ত, নিতাই চন্দ্র দাম ও হরি দত্ত, রঘুনাথপুরের গনেশ চন্দ্র ও বিনয় চন্দ্র সাহা, ডোমন গ্রামের নগেন্দ্র নাথ সাহা, নারায়ণ চন্দ্র প্রামানিক ও হীরেন্দ্র নাথ সাহা এবং কাটনারপাড়ার গৌর গোপাল মহন্ত। অপর ৫ জনের নাম ও ঠিকানা পাওয়া যায় নি।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাঙালি জাতিকে মেধা-মনন শূন্য করে তোলার নীল নকশা করে পাকিস্তানি ঘাতক বাহিনী। তাদের দোসর রাজাকার-আলবদরদের সহযোগিতায় ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।