বগুড়া নিউজ ২৪: নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে সর্বাত্মক শ্রমিক ধর্মঘট হবে। আমাদের দেশে অতীতে যত বড় আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান হয়েছে- এর ভেন্ডার ছিল ছাত্ররা, তারপর ছিল শ্রমিকরা।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকারি এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, শতকরা ৭৩ ভাগ যুব সমাজ সত্য কথা বলতে ভয় পায়। আমি যতজন যুবক দেখেছি, তাদের মধ্যে ভয় দেখিনি। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেক প্রশ্ন, অনেক সংশয়।
তিনি বলেন, এ দেশে যারা বিরোধী দলের নেতা হতে চায়, বিরোধী দল গঠন করতে চায়, তারা পোস্টার ছাপায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হয়ে। এটা তো কোনো ভোট নয়। মানুষ ভোট দিতে যাবে কেন? কিন্তু সূর্য উঠবে এবং ডুববে, ৭ জানুয়ারিও আসবে। ওইদিন সকালবেলা আওয়ামী লীগ সব মঞ্চ সাজিয়ে রাখবে। ঘরে ঘরে কিছু পোস্টার, ব্যালট পেপার থাকবে। আর বাইরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একটি বড় লাইন থাকবে। তাদেরকে দুইবার করে নাস্তা খাওয়াবে, তিনবার করে লাঞ্চ করাবে। টাকাও পকেটে গুঁজে দিবে। আর বলবে, থাক সবসময় ভোটকেন্দ্রে। যখন সন্ধ্যা হয়ে যাবে, তখন টেলিভিশনে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এটা আটকানো যাবে না।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, এই নির্বাচনকে ফালতু বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা কোনো নির্বাচনই নয়। এটা এখন দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় আছে, ততদিন জুলুম-অত্যাচার করতেই থাকবে। এ জন্য আমরা এই সরকারের পদত্যাগ ও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে লড়াই ঘোষণা করেছি।
তিনি বলেন, দেশের ৯৫ শতাংশ বা তার বেশি মানুষ এই সরকারকে চায় না। এটা বোঝা গেছে। কিন্তু পুরো প্রশাসন এখনও তাদের সঙ্গে রয়েছে। তাই এখনও কান টেনে, ঘাড় ধরে, গলায় গামছা বেধে সরকারকে নামিয়ে দিতে পারছেন না হয়তো। কিন্তু তাদের তো নামতে হবে। সেই লড়াইটাই করতে হবে।
ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আব্দুল আজিজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণফোরামের সভাপতি সুব্রত চৌধুরী এবং গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নূর।
