আগের রাতে ভোট হবে না, শতভাগ নিশ্চিত : সিইসি

বগুড়া নিউজ ২৪: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আগের রাতে ভোটের যেসব কথাবার্তা হয়েছে- আমরা ৯৯ নয়, শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি, সেটি কোনো অবস্থাতেই হবে না। এজন্য অনেক কেন্দ্রে ব্যালট পেপার সকালে যাবে।

মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (পিটিআই) অডিটোরিয়ামে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় করে ইসি। পরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
সিইসি কাজী হাবিবুল বলেন, এখন ব্যালট পেপার সকালে না গিয়ে ১০ দিন আগে অথবা ১০ মাস আগেও যদি যায় তাহলেও প্রার্থীরা তাদের পোলিং এজেন্ট দিয়ে সকালে ভোট কেন্দ্রে স্বচ্ছ বাক্সগুলো খালি কি না, সেটি দেখে তারপর বন্ধ করবেন। সেক্ষেত্রে অবৈধভাবে কোনো ব্যালট বাক্স ঢোকার সুযোগ নেই। তারপরও আমরা বিশ্বাস এবং আস্থা অর্জনের জন্য বলেছি, ব্যালট পেপার সকালে পাঠাবো।

তিনি আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্টরা অবশ্যই দাঁড়িয়ে থেকে দেখে নেবেন ব্যালট বাক্সগুলো খালি আছে কি না। তারা ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ গণনা ও ফলাফল পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করবেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটের মাঝে যদি কোনো পেশিশক্তির উদ্ভব ঘটে, তাহলে আমাদের অবহিত করা হলে সেসব ভোটকেন্দ্রের ভোট আমরা বন্ধ করে দেবো। আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছি, অনেকে আশ্বস্ত হয়েছেন, কেউ কেউ আশ্বস্ত নাও হতে পারেন। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে আমরা বলতে চাই, এই ধরনের ঘটনা আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবে না।

তিনি আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রে যদি পেশিশক্তির কোনো উদ্ভব ঘটে, সেজন্য প্রশাসনকে বলে দিয়েছি, রিটার্নিং অফিসাররা যদি অবগত হন এবং প্রিজাইডিং অফিসারকে যদি বলা হয়, তিনি তাৎক্ষণিক ভোট বন্ধ করে দেবেন। উনি যদি বন্ধ না করেন, রিটার্নিং অফিসার যদি অবগত হন, তিনি বন্ধ করে দেবেন। তিনিও যদি না করেন, তাহলে আমরা যদি অবগত হই, ঢাকা থেকে আমরাও নির্বাচন বন্ধ করে দিতে পারবো। এজন্য বলেছি আমাদের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে যে অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে, সে অনাস্থা অবিশ্বাসটুকু যাতে দূর হয়।

কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলুন, কোনো অননুমোদিত ব্যক্তি যদি কোনো ভোটকেন্দ্রে কোনোভাবেই প্রবেশ করে, তাহলে বুঝতে হবে তার কুমতলব রয়েছে। ফলে কোনো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। আমরা কঠোর বার্তা দিয়েছি, কোনোভাবে তা বরদাশত করা যাবে না। আমাদের নির্বাচনী সংস্কৃতির মধ্যে কালোটাকার বিনিময়ে পেশাদার গুন্ডাদের ভাড়া করেন। তাদেরকে বলা হয় পেশিশক্তি, মাসলপাওয়ার। মাসলপাওয়ার যাতে ভোটকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পরে, সেদিকে কঠোর নজর রাখতে হবে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ