তারিকুল আলম, সিরাজগঞ্জঃ তীব্র শীত ঝেঁকে বসেছে পুরো উল্লাপাড়া উপজেলাজুড়ে। পৌষ মাসের মাঝ সময় থেকে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। পাশাপাশি পড়ছে ঘন কুয়াশা। আর শীতের তীব্রতার শুরুতেই ফুটপাতে চলছে শীতবস্ত্রের জমজমাট বেচাঁকেনা। মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষসহ প্রায় সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ফুটপাত বাজারগুলো থেকে শীতের কাপড় কেনাকাটা করছে।
গ্রামের পাশাপাশি এখন শহরে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এরপরও সর্দি, কাশিসহ শীতকালীন নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছেন উল্লাপাড়া উপজেলাবাসী। কিনছেন হালকা ও মাঝারি ধরনের শীতের গরম পোশাক। উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় রোড, গুলিস্তান, এইচ টি ইমাম পৌর উন্মুক্ত মঞ্চ, রেজিস্ট্রার অফিস চত্তর সহ বিভিন্ন স্থানের ফুটপাত ও মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে শীতবস্ত্র বেচাঁকেনা জমজমাট। মানুষ ঈদের মার্কেটের মতো আগ্রহ নিয়ে শীতের কাপড় কিনতে দেখা যায়। ভিড়ের কারণে দামাদামি ও যাচাই বাছাই করে কেনার সুযোগ অনেকটা কম পাচ্ছে ক্রেতারা। শুধু শীতের কাপড় পছন্দ হলেই একদামে কিনছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ফুটপাতে বসা ব্যবসায়ী সজীব বলেন, আমরা বছরে দুই ঈদ ছাড়া এই শীতে একটু বাড়তি ব্যবসা করার সুযোগ পেয়ে থাকি। তবে সারাবছর আবার এ সুযোগ পাওয়া যায় না বলে তিনি জানান।
অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, গত বছরও শীতবস্ত্রের মার্কেট জমজমাট ছিল। তবে এবার শীতের শুরুতেই ক্রেতারা আগেভাগে শীতের কাপড় কিনে নিচ্ছেন।
কয়ড়া বাসিন্দা ক্রেতা মালা বেগম বলেন, শীতের প্রভাব আরো বেশি পড়ায় এবার শীতের পোশাক কেনার জন্য ফুটপাতের মার্কেটে আসছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা গরিব তাই আমাদের বেশি দামের পোশাক কেনার সামর্থ নেই। বর্তমানে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই ফুটপাতের পোশাকই আমাদের একমাত্র ভরসা। শত টাকার এই সোয়েটার দিয়ে এবছরের পুরো শীত মোকাবেলা করব। সামর্থ না থাকায় আমি প্রতিবছরই ফুটপাতের দোকানগুলো থেকে শীতের পোশাক কিনে থাকি। তাই এ বছরও কিনলাম। ফুটপাতের দোকান হলো গরিবের শপিংমল। তাই আমার মতো গরিবরা এ দোকানগুলো থেকে প্রতি বছর শীতে কাপড় কিনে থাকে।