মমিন রশীদ শাইন: বগুড়ায় হাড়কাঁপানো শীতে সূর্যের দেখা নেই। উত্তরের হিমেল হাওয়া ঘন কুয়াশা আর বইছে ঠাণ্ডা বাতাস। বগুড়া আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ছয়টার দিকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে তাপমাত্রা কমে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে ঠাণ্ডার অনুভূতি।
মাঘের শুরুতে গত কয়েকদিন ধরে দিন-রাতের বেশির ভাগ ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে প্রকৃতি। সূর্যের দেখা নেই টানা কয়েকদিন। ধারণা করা হচ্ছিল, আকাশ মেঘলা থাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। কিন্তু হিমেল হাওয়ায় ঘটেছে উল্টো। ঠাণ্ডায় লোকজনের দুর্ভোগ বেড়েছে। খেটে খাওয়া নিম্ন-আয়ের লোকজনের ভোগান্তি সীমাহীন হয়েছে।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঠাণ্ডা মোকাবেলায় স্থানীয়রা যতটা সম্ভব গরম পোশাকে আবৃত হয়েছেন। কর্মব্যস্তরা বেরিয়ে পড়েছে কাজে। শিশু-বৃদ্ধরা গোল হয়ে বসে আগুন পোহাচ্ছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় তীব্র এই শীতেও স্কুলে যেতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
এই শীতে রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষ করে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও প্রবীণরা। সেই সঙ্গে শীতবস্ত্রের চাহিদাও বাড়ছে।
ডিআরও বলেন, ‘এরই মধ্যে ১২উপজেলার শীতার্তদেরকে ৬২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও বরাদ্দ পেলে তা বিতরণ করা হবে।’
বগুড়া আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা জানান , মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াাস। এ মৌশুমে বগুড়া জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এটি। বগুড়া শহরে হিমেল হাওয়ায় ঠাণ্ডার অনুভুতি তীব্র। এছাড়া দুই-একদিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।