স্টাফ রিপোর্টার: অবৈধভাবে ধান মজুদ করায় নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিকের এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসাথে সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন ধানসহ তার তিনটি গুদাম সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মফিজ উদ্দিন অটোরাইস মিল নামে অপর এক চালকলে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা ও তছিরন অটোমেটিক রাইস মিলে অভিযান চালিয়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে গঠিত দু’টি ভ্রাম্যমাণ আদালত চালকলগুলোতে অভিযান চালায়।
অন্যদিকে শহরের বাইপাস এলাকায় তছিরন অটোরাইস মিলে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ধান মজুদের প্রমাণ পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ওই মিল মালিকের এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া শহরের মাদার মোল্লা এলাকায় মফিজ উদ্দিন অটোরাইস মিলে অভিযান চালানো হলে বেশ কিছু অনিয়ম ধরা পড়ে। অনুমোদনের চেয়ে বেশি সময় ধরে ধান-চাল মজুদ করায় ওই মিলের মালিক তৌফিকুল ইসলাম বাবুর ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা জানান, অবৈধ মজুদবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে শহরের আনন্দনগর এলাকায় মেসার্স আরএম রাইস মিলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই মিলের তিনটি গুদামে অবৈধভাবে প্রায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিকটন ধান পাওয়া যায়।
পরে কৃষি বিপণন আইনে মিলের সত্ত্বাধিকারী নওগাঁ জেলা চাল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিকের এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একইসাথে গুদামগুলো সিলগালা করা হয়। বাজার দর অনুযায়ী ধান বিক্রির শর্ত সাপেক্ষ গুদামগুলো খুলে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ মজুদবিরোধী চলমান অভিযানের ফলে চালের বাজার দর কমতে শুরু করেছে। এই অভিযান চলমান থাকবে।