বগুড়ায় শৈত্য প্রবাহ জবুথুবু জনপদ

মমিন রশীদ শাইন: বগুড়ার ১২ উপজেলার সর্বত্র দু’দিন ধরে বয়ে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় চরমদুর্দশা গ্রস্ত হয়ে পরেছে এলাকার খেটে খাওয়া শ্রমজীবি, নদ-নদীর তীরবর্তী চর ও দ্বীপচরের মানুষজন। এদিকে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জবুথুবু হয়ে পড়েছে গোটা জনপদ। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে জেলার সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে শীতের সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জবুথুবু হয়ে পড়েছে গোটা জনপদ। তীব্র ঠান্ডার প্রকোপে অচল হয়ে পরছে জীবন ও জীবিকা। বগুড়া জেলার সবকটি হাসপাতালে বৃদ্ধি পেয়েছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা শ্বাসকষ্ট, নিমোনিয়া এবং ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।

এদিকে শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ৬২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

বগুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, শৈত্যপ্রবাহ থাকলে সব স্কুল বন্ধ থাকবে। তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেই পুনরায় স্কুল খুলে দেয়া হবে। এজাতীয় একটি চিঠি জেলার সবক’টি উপজেলায় পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আমরা প্রতিদিন সকার ৯টার মধ্যে তাপমাত্রার খোঁজখবর রাখছি।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জানান, আপাতত বীজতলার কোনো ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তবে এরকম মৃদু শৈত্য প্রবাহ চলতে থাকলে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। তারপরও আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। যাতে ফসলের কোন ক্ষয়ক্ষতি না হয়।

বগুড়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক বিমল চন্দ্র জানান, সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি আরও বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে জেলায় বাতাসের গতি বেশী থাকার কারণে জেলায় শীতের তীব্রতা একটু বেশি।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১