সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ১২ জনকে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বোহাইল ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ রায় ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুর রহমান।
এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ৩ টি ড্রেজার বা বালু উত্তোলন যন্ত্রও জব্দ করা হয়েছে। কারাদন্ড প্রাপ্তদের দুইজনকে এক মাস ও আটজনকে পনের দিনের এবং দুইজনকে সাতদিন করে এ সাজা দেয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বোহাইল ইউনিয়নের কালিয়ান মৌজায় ৬ টি ড্রেজার বা বালু উত্তোলন যন্ত্র বসিয়ে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতো দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা। বালুগুলো প্রায় ১২ টি বাল্কহেড দিয়ে পরিবহন করে যমুনা নদীর কিনারায় স্তুপ করে রাখা হতো। সেখানে আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুর রহমান।
অভিযান শেষে ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ৩ টি ড্রেজার বা বালু উত্তোলন যন্ত্র জব্দ করে সারিয়াকান্দি উপজেলার কালিতলা নৌঘাটে নিয়ে আসা হয়। ১২ জনের ২ জনকে ১ মাস, ৮ জনকে ১৫ দিন এবং ২ জনকে ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান কার হয়।
১ মাসের কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলো, সিরাজগঞ্জ সদরের সরকার বাড়ী এলাকার মহসিন (৪৫) এবং বরগুনা জেলার আমতলী থানার রকিরখালী এলাকার আব্দুল লতিফ মেধার ছেলে আল-আমিন (২৮)।
১৫ দিনের কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামীরা হলো কাজিপুর উপজেলার মাইশড়ী এলাকার মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে নায়েব আলী (৫০), রাজশাহী উপজেলার চাঁদপুর এলাকার মৃত রহমত আলীর ছেলে মাজদার রহমান (৫৫), একই এলাকার কিশমত আলীর ছেলে খোকা (৫০), ইয়াকুব আলীর ছেলে হেলাল (৪৭), শহিদুল ইসলামের ছেলে মিল্টন (২৫), লুৎফর রহমান (৩৮), বাবলু মন্ডলের ছেলে মজনু মন্ডল (২৮), ভুয়াপুর উপজেলার ডিগ্রিরচর এলাকার বাবলু মন্ডলের ছেলে মজনু মন্ডল (২৮) এবং তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সুজন (২৪)।
৭ দিনের দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানার বড়রায় পাড়া এলাকার মৃত চান মিয়ার ছেলে আব্দুল হালিম (২৮) এবং বরিশাল জেলার বড়নদী উপজেলার নাচোই এলাকার শহীদ ব্যাপারির ছেলে জসিম (২২)। কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামীদের আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাতেই বগুড়া জেলার কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
তৌহিদুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যমুনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ উপজেলায় যেখানেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হবে, সেখানেই অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।