অবৈধ মজুতদারি ও চাঁদাবাজি বন্ধে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বগুড়া নিউজ ২৪: অবৈধ মজুতদার ও চাঁদাবাজরা যেন দ্রব্যমূল্য বাড়াতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, সব জায়গায় চাঁদাবাজি এবং মজুতদারি বন্ধ করতে হবে। আপনারা বিভিন্ন এলাকার প্রতিনিধি, এতে আপনাদের নজর দিতে হবে। কৃষক যাতে প্রকৃত মূল্য পায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। চাঁদাবাজি ও মজুতদারির জন্য যাতে পণ্যের দাম না বাড়ে সেটি দেখতে হবে।

শনিবার সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় একথা বলেন তিনি।

সভায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। বলেন, দুর্নীতিবাজদের প্রতিরোধ করতে হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপিসহ তাদের কিছু বিদেশি প্রভু আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভিসা নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়ে ছিল। কিন্তু আমরা সঠিকই পথেই নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়েছি। কিছু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে যে, নির্বাচন হয়েছে ঠিক, কিন্তু অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। তাদের দেখাতে হবে কোথায় সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। আমরা তো এতটুকু বলতে পারি, নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। নির্বাচন কমিশন যাতে নিরপেক্ষ কাজ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করেছি। এই সাহস আওয়ামী লীগেরই আছে। ৮১টা সংস্কার প্রস্তাব কার্যকর করে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করে দিয়েছি। যার কারণে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে।

দেশি-বিদেশি একটি পক্ষ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করছিল অনেকেই। অনেকে চেয়েছে, নির্বাচন অবাধ ‍ও সুষ্ঠু না হোক, তাতে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে এবং স্যাংশন দেওয়া যাবে।

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যেন সরকারে আসতে না পারে এজন্য বারবার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তি, তারা চেয়েছে বলেই, ভোট দিয়েছে বলেই ক্ষমতায় এসেছি। নেতাকর্মীদের ত্যাগের বিনিময়ে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ আওয়ামী লীগ এখানে এসেছে।

নির্বাচন নিয়ে বারবার চক্রান্ত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সব চক্রান্ত মোকাবিলা করে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকাতে চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি। ২০১৮ সালেও এসে আবার পরাজয় জেনে সরে গেছে। এবার নির্বাচন যেন না হয়, সে অপচেষ্টা করেছিল কিন্তু জনগণ ঠিকই ভোটের মাধ্যমে জবাব দিয়েছে। এখনো তারা লম্ফঝম্প করছে। কিন্তু কোনো লাভ হবে না। দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে।

আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা, মহানগর ও উপজেলা, থানা, পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়র এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকরা।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ