বগুড়ায় শ্রমিকনেতা হেলালের তিনটি গাড়ী ও চারটি বাড়ি জব্দ

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন শেখ হেলাল, তার দুই স্ত্রী ও এক সন্তানের চারটি বাড়ি জব্দ করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আদালতের নির্দেশে গণপূর্ত বিভাগ বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী এএইচএম শাহরিয়ার শহরের চকসুত্রাপুর এলাকায় তাদের মালিকানাধীন বহুতল ভবনের চারটি বাড়ি জব্দ করেন। এ সময় দুদক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় পুলিশ তাদের সহযোগিতা করে। আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদক বগুড়ার পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ।

গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়া দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান বাদি হয়ে অর্থপাচার আইনে মামলা করেন। মামলায় শামসুদ্দিন হেলালসহ তার দুই স্ত্রী ও ছেলে হোসাইন হাবিবের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার এবং দুদক আইনের একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এজাহারে হেলালের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার ৯২০ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

এ ছাড়া ১ কোটি ২ লাখ টাকার বেশি সম্পদ দ্বিতীয় স্ত্রী আবে জমজম ওরফে নাজীর কাছে স্থানান্তরের অভিযোগ এনে তাকেও আসামি করে দুদক। আর তার প্রথম স্ত্রী হেলেনা পারভীন ২ কোটি ৪১ লাখ ২৩ হাজার ৯৮৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তবে সম্পদ বিবরণীতে তিনি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার ১৮৯ টাকার ভিত্তিহীন হিসাব দেন।

এ ছাড়া হোসাইন হাবীবের ২ কোটি ৮০ লাখ ৫ হাজার ৩৪৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার দাবি করে সংস্থাটি। চার মাস তদন্তশেষে দুদক আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এরপর গত বছরের ৩০ জুলাই বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ মোজাম্মেল হক চৌধুরী শামসুদ্দিন হেলালের চারটি বাড়ি ও নয়টি গাড়ি জব্দের আদেশ দেন।

আদেশে বগুড়ার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে চারটি বাড়ির ও বিআরটিসি বগুড়ার ডিপো ব্যবস্থাপককে নয়টি গাড়ির রিসিভার নিয়োগ করা হয়। ওই আদেশের প্রেক্ষিত আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাড়ি চারটি জব্দ করে প্রশাসন। এছাড়াও গত ১৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে হুলিয়া ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এরপর থেকে শামসুদ্দিন হেলালসহ বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। দুদক বগুড়ার পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত বছর আদেশ জারির পর আইনি সব প্রক্রিয়া মেনে শামসুদ্দিন শেখ হেলালের চারটি বাড়ি জব্দ করা হয়েছে।

এছাড়াও জব্দের আদেশে থাকা ৯টির মধ্যে তিনটি গাড়িও তিনি রিসিভারের কাছে হস্তান্তর করেছেন। পলাতক থাকায় বাকী ছয়টি গাড়ির সন্ধানে কাজ চলছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ