নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ- বগুড়ার নন্দীগ্রামে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের দই মিষ্টি। এদিকে প্রতিটি হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট থেকে মাসিক বখরা নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন উপজেলা সেনেটারি অফিসার জামিল উদ্দিন। অপরদিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে দই, বৃদ্ধি পেয়েছে মিষ্টি সহ হোটেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারের দাম। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের তৈরিকৃত মিষ্টান্ন গুলো যাচ্ছে এই উপজেলার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে। বিক্রি হচ্ছে অনেক চওরা দামে, একদিকে চওরা দাম অন্যদিকে সঠিক মাপ না থাকায় ঠকছেন ক্রেতারা। জনসাধারণের উপর এসব নির্যাতন চোখে দেখেও যেন চোখে পরছেনা সরকারি ভাবে নিয়োগ করা স্যানেটারি এই আফিসার জামিল উদ্দিনের চোখে। মান কম দাম বেশি আবার ওজনেও কম দিয়ে দই মিষ্টি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে নন্দীগ্রামের বেশকিছু হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট মালিকদের বিরুদ্ধে। জানা গেছে নন্দীগ্রাম উপজেলায় বেশকিছু সুনামধন্য রেস্টুরেন্ট ও দই মিষ্টির কারখানা রয়েছে। সেগুলো কারখানাতে প্রতিনিয়ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই তৈরি করা হচ্ছে দই মিষ্টি থেকে শুরু করে নানা ধরনের মিষ্টান্ন। আর এসব মিষ্টান্ন বিক্রয় হচ্ছে নামিদামি রেস্টুরেন্ট সহ বিভিন্ন হাট বাজারে। একদিকে ওজন কম আরেকদিকে বেশি মূল্যে দিয়ে এসব মিষ্টান্ন ক্রয় করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। চোখ থেকেও যেনো অন্ধ দেখার কেউ নেই এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় ক্রেতাদের। সরকারি ভাবে স্যানেটারি আফিসার নিয়োগ দেওয়া থাকলেও তার কোন কর্মকান্ডচোখে পড়ে না। অভিযোগ উঠেছে, সে বিভিন্ন দোকান থেকে প্রতি মাসে চাঁদা আদায় করে থাকে। দোকান মালিকদের সঙ্গে স্বখ্যতা থাকার কারনে অভিযোগ থাকলেও কোন দোকান মালিককে মামলা দেন না সেনেটারি অফিসার জামিল উদ্দিন। স্থানীয় কিছু ক্রেতারা জানান, নন্দীগ্রামে দই মিষ্টি কিনতে গেলে প্যান্ট ঢিলা হয়ে যায় নন্দীগ্রামের রেস্টুরেন্ট মালিকরা দই মিষ্টির এত দাম বেশি নেয় যা আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিড়ে। দই কিনতে গেলে ৫থেকে ৬শ গ্রাম দই থাকে একটি মাটির সড়াতে দাম নেওয়া হয় ১৫০/২০০ টাকা। কিন্তু তারা ১কেজি দই থাকে বলে চালিয়ে দেন। ক্রেতারা আরও বলেন দই মিষ্টি সচরাচর ২শ টাকা করে বিক্রি করলেও যেকোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নতুন বাহানা করে ডাবল দামে বিক্রি করেন এসব মিষ্টান্ন একবার দাম বারলে আর কমেনা এসব পণ্যের দাম। যার মাধ্যমে আমাদের মত সাধারণ ক্রেতাদের উভয় দিক থেকে ঠকানো হচ্ছে। এছাড়াও নন্দীগ্রামের বিভিন্ন হোটেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারের দাম ব্যাপক ভাবে বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে ক্রেতার জানান। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাধারণ ক্রেতারা প্রশাসনের নিকট তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান তারা। জানতে চাইলে উপজেলা সেনেটারি অফিসার জামিল উদ্দিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাই সরকারি বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করি।
প্রচ্ছদ » রাজশাহী বিভাগ,সারাদেশ » নন্দীগ্রামে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে দই, সেই সাথে বেড়েছে হোটেলে খাবারের দাম
আপডেট টাইম : শুক্রবার, মার্চ ১, ২০২৪, ৪৪ বার পঠিত
Please follow and like us: